আলিনা অধ্যায় – ৬
একটা বয়সে মানুষের ভালোবাসা এসে জমা হয় তার জাগতিক বস্তুতে এবং তার বাসস্থানের উপর। নিজের ঘরবাড়ি ছেড়ে বুড়ো লোকজন এই কারনেই খুব বেশি দূরে যেতে চান না।
একটা বয়সে মানুষের ভালোবাসা এসে জমা হয় তার জাগতিক বস্তুতে এবং তার বাসস্থানের উপর। নিজের ঘরবাড়ি ছেড়ে বুড়ো লোকজন এই কারনেই খুব বেশি দূরে যেতে চান না।
||এক|| কন্যার মা ইলিশ মাছ ভাজছে। তার সুঘ্রান সারা ঘরে। মাছ তার পছন্দের একটা খাবার। সে অবশ্য মাছ বলে না আমাদের মত, বলে ফিশ 😆। হাতের মোবাইল রেখে দৌড়ে রান্নাঘরে মার কাছে, আর আমার দিকে এমন একটা চেহারা করল চোখ বড় বড় করে..... আগের দিনে বাসায় মেহমান রসগোল্লা আনলে আমাদের...
আলিনার সাথে আমার চমৎকার সময় কেটে যায়। তার আবদারের পরিমান দিন দিন বাড়ছে আর আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে কিভাবে সামাল দেয়া যায় তা নিয়ে। আমরা শিখছি প্রতিদিন নতুন করে আর নিজেরাও শিখাচ্ছি মেয়েকে যা পারছি। একটা জিনিস আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি, যদি সমাজে পরিবর্তন আনতে চান...
এক উদাস বিকেলে আলিনার বইমেলা ভ্রমন এবং স্মার্ট মানুষ দেখার গল্প- ঘুম ঘুম চোখ এখনও ঘুম থেকে ওঠার নাম নেই। গড়াগড়ি দিচ্ছে তো দিচ্ছেই, বেলা বাজে ১১ টা। বাবাঃ আলিনা বেইবি উঠে যাও, অনেক্ষন হয়েছে তো, আরো ঘুমাতে চাও? আলিনা হালকা চোখ খুলে - "বেবিরা তো ওয়া ওয়া করে, শুয়ে...
মেয়েটা বড় হয়ে যাচ্ছে। নিজে নিজে খেলতে খেলতে কখন যেন চার বছরে পা দিয়ে ফেলল। তার নিজের আবেগ অনুভুতি আর ক্ষমার নিজস্ব একটা পরিভাষাও তৈরি হয়ে গেছে। আমি স্বভাবতই আমার পরিবার নিয়ে বা নিজের শৈশব নিয়ে লিখি না। কারন কিছু টুকরো টুকরো আর এলেমেলো আনন্দ মুখর সময় বাদে আমার শৈশব...
'অত্র সাত ঘটিকা'র সময় চোখ খুলে দেখি আমার মেয়ে বিছানায় উঠে বসে আছে। আমাকে চোখ পিট পিট করতে দেখেই বলল, দাদুকে গুডমর্নিং বলে আসি। তার অর্থ হল, দরজা খুলে দাও আমি সবাইকে ঘুম থেকে তুলে দিয়ে আসি। ... কি মুশকিল...। যতই না করি তার কান্না বাড়ে সাথে ভলিউম। ঃ আমরা পরে...