আমার ফিরতে বড় দেরি হয়ে যায়,
সব পাখি ঘরে ফেরে, আমি শুধু নীড় হারাই
আমার দেখা হয়না মমতায় বিছানো শিউলি ফুল-
আমি বুনো অর্কিডের আগুন বর্ণে মাতাল হই
হারিয়ে ফেলি শিমুলের ডাল আর কাঁঠাল চাপার সুবাস।
সবাই ঘরে ফেরে, আমি শুধু বিস্মৃত হই
আমার ভাঙনের সুরে আমি অ্যাটলান্টিক সমুদ্র তুলে আনতে গিয়ে-
হারিয়ে ফেলি শ্যাওলা দিঘির ঘাট।
আমার ফেরা হয় না-
আমি হারিয়ে যাই গ্রীক পুরানে, দেবতা আইসিসে
শুধু হারিয়ে ফেলি আমার উর্বর মাটির সোঁদা গন্ধ।
আবার যদি ফিরে আসি, যদি ফেরা হয় চেনা বটের ছায়ায়
তবে মানুষ করে দিও,
দেয়াল নয়, ভেঙ্গে পড়া বাতাস নয় …
এ মাটির একটা ঘাসফুল করে রেখে দিও পায়ের তলায়।
কবিতা
ইচ্ছের মানুষ
অনেক গভীর ইচ্ছেরাও মাঝে সাঝে দুহাত বাড়িয়ে
তল পায়না এই হতচ্ছাড়া গভীরে
যারা স্বপ্ন দেখেছিল, অনেক নতুন ভোরের
তারাও এখন সাদাকালো
শুধু পৃথিবীর পথে রয়ে গেছে কিছু ধুলোবালি
আমার গোপন আবাস
মাঝে মাঝে মানুষ দেখতে বের হই,
নিজের একান্ত সময় থেকে।
পেছনে পড়ে থাকে ঘর-বাড়ি, মায়া, প্রেম
প্রেম রাস্তাতেও থাকে, উদার... মোলায়েম হাসিমাখা
কিন্তু চারদেয়ালের মাঝে -সে হিংস্র, তার আদিম চেহারায়।
আমি তাই মুখোশের মানুষ দেখতে বের হই।
উল্টো মানুষ
আমি মিছিলেও একা থেকেছি
অরণ্যে নিঃশব্দে এঁকেছি সবুজের গল্প
সবার কি স্লোগানে মুখর হবার কথা ছিল?
কেউ কেউ এক মূহুর্ত নিরবতার জন্য পাড়ি দিয়েছে পঞ্চাশ বছর।
গল্প
বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর
বৃষ্টি না হয় বোঝা গেল… কিন্তু টাপুর টুপুর আবার কি জিনিস? কে এই শিব ঠাকুর? আর কন্যারা কেন রাঁধেন? রান্নাটা আসলে কি? নাহ একবার গ্যালাকটিক লাইব্রেরীতে দেখতেই হচ্ছে। বুঝতে না পারলে ব্যাপারটা মাথা থেকে নামানো যাচ্ছে না। বড় গোলমেলে প্রজাতি।
পথ
আমি জয়িতার চোখের দিকে তাঁকিয়ে আছি। বয়সে সে আমার থেকে বেশ ক'বছর ছোট হবে। কিন্তু এই বেগুনি শাড়িটায় তাকে আমার থেকেও বড় লাগছে। হটাত করে মনে হচ্ছে সে আমার চিন্তার থেকেও অনেক বড় হয়ে গেছে।
ব্যস্ততা
আমি ফোনের ওপাশ থেকে অর্পার ফোঁপানির আওয়াজ পেলাম বলে মনে হল। কিছুক্ষন চুপ করে থেকেও যখন অর্পা কথা বলছিল না তখন আমি জানতে চাইলাম, আমি কি ফোন রেখে দেব? জানতাম আমার এই কথায় অর্পা আরো রেগে যাবে। মাঝে মাঝে কাছের কিছু মানুষকে অকারনেই রাগিয়ে দিতে ভালো লাগে। অর্পা আমার...