আমার ফিরতে বড় দেরি হয়ে যায়,
সব পাখি ঘরে ফেরে, আমি শুধু নীড় হারাই
আমার দেখা হয়না মমতায় বিছানো শিউলি ফুল-
আমি বুনো অর্কিডের আগুন বর্ণে মাতাল হই
হারিয়ে ফেলি শিমুলের ডাল আর কাঁঠাল চাপার সুবাস।
সবাই ঘরে ফেরে, আমি শুধু বিস্মৃত হই
আমার ভাঙনের সুরে আমি অ্যাটলান্টিক সমুদ্র তুলে আনতে গিয়ে-
হারিয়ে ফেলি শ্যাওলা দিঘির ঘাট।
আমার ফেরা হয় না-
আমি হারিয়ে যাই গ্রীক পুরানে, দেবতা আইসিসে
শুধু হারিয়ে ফেলি আমার উর্বর মাটির সোঁদা গন্ধ।
আবার যদি ফিরে আসি, যদি ফেরা হয় চেনা বটের ছায়ায়
তবে মানুষ করে দিও,
দেয়াল নয়, ভেঙ্গে পড়া বাতাস নয় …
এ মাটির একটা ঘাসফুল করে রেখে দিও পায়ের তলায়।
কবিতা
ছায়ারা ফিরে আসে
বেঁচে থাক আমার শৈশব বেঁচে থাক
আমার নাটাই-ঘুড়ি, সুতোর কাটাকাটি
দেয়ালে পেয়ারা আর ঘাস ফড়িঙে মাতামাতি
গুড়গুড় বর্ষায় দুরুদুরু বুকে আলতো পায়ে
একছুটে ঘর থেকে আমতলা
রাজ্যের ভয় আর উল্লাস থাকুক জমা।
আছি এই অপেক্ষায়
মাঝে মাঝে শুধু মায়া জন্মাতে আসি
আঙুলে ছুঁয়ে দিয়ে বলে যাই আছি
আমি ছায়ার মত, মায়ায় জড়িয়ে
রৌদ্র খরতাপ শেষে-
আছি… আমি অপেক্ষায় আছি।
গল্প
পথ
আমি জয়িতার চোখের দিকে তাঁকিয়ে আছি। বয়সে সে আমার থেকে বেশ ক'বছর ছোট হবে। কিন্তু এই বেগুনি শাড়িটায় তাকে আমার থেকেও বড় লাগছে। হটাত করে মনে হচ্ছে সে আমার চিন্তার থেকেও অনেক বড় হয়ে গেছে।
ব্যস্ততা
আমি ফোনের ওপাশ থেকে অর্পার ফোঁপানির আওয়াজ পেলাম বলে মনে হল। কিছুক্ষন চুপ করে থেকেও যখন অর্পা কথা বলছিল না তখন আমি জানতে চাইলাম, আমি কি ফোন রেখে দেব? জানতাম আমার এই কথায় অর্পা আরো রেগে যাবে। মাঝে মাঝে কাছের কিছু মানুষকে অকারনেই রাগিয়ে দিতে ভালো লাগে। অর্পা আমার...
দূরত্ব…
কিছু গল্প থাকে শেষ করা যায় না। মাথায় খন্ড খন্ড স্মৃতির মত টোকা দিতে থাকে। সেগুলোই-