আলিনা অধ্যায় -১৫: সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি
মানুষের জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হোল তার সময়। আমাদের সময় খুব সীমিত, কিন্তু আমরা তা বুঝতে চাই না।
মানুষের জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হোল তার সময়। আমাদের সময় খুব সীমিত, কিন্তু আমরা তা বুঝতে চাই না।
যদি মানুষ তার কল্পনাকে সীমাবদ্ধ করে ফেলে একটা ধর্ম বা সংস্কৃতির গন্ডিতে, তবে দুই মিলিয়ন বছরের ইভোলিউশন বৃথা যাবে।
আমি বৃষ্টি পছন্দ করি, অতি বেশি পরিমানেই করি। যখনই বৃষ্টি পড়ে আমার ইচ্ছে করে শহরের রাস্তায় রিকশায় চেপে ছাতা মাথায় ঘুরতে। ছাতাটা অবশ্য আলিনার জন্য। সে বৃষ্টি পছন্দ করলেও ভিজতে খুব একটা চায় না। যখনই ঝুম বৃষ্টি পড়া শুরু হয়, দৌড় দিয়ে এসে আমাকে বলে যায়, "বাবা বৃষ্টি..."।
খুব খুব মন খারাপের এই শহরে যে কথা প্রেমিকা বা স্ত্রীকেও বলা যায় না, অঝোরে কাদঁতে কাঁদতে সেকথা বন্ধুকে হুট করে বলে ফেলা যায়, নির্দ্বিধায়, নিঃসংকোচে।
স্মৃতি সবসময়ই কাঁদায়। সুখের হোক, বা দুঃখের হোক - স্মৃতি মনে পড়লেই মনটা বিষন্ন হয়ে ওঠে। আমার নিজের স্কুলের কথা যখন আমার মনে হয় তখন অজান্তেই একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে, সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি, আর ফিরে পাওয়া হবে না! সেই ভাবনাহীন শৈশব আর অবাধ্য কৈশোর আমাকে...
বিষণ্ণতা যাকে আমরা সাধারনত ডিপ্রেশন (Depression) বলে জানি, এর ভয়াবহতা কতটা তা কি জানেন? জীবদ্দশায় অনেকেই হালকা বা মৃদু এ বিষন্নতায় আক্রান্ত হয়েছেন, আবার সেরেও গেছেন। কিন্তু কেউ কেউ দীর্ঘ সময় এ ধরনের রোগে ভোগেন এবং প্রচন্ড অভিমান বুকে নিয়ে দিনযাপন করেন। মানসিক...
আমার কাছে সবথেকে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি হল, একই রুমে আপনাকে যদি বোকা কিছু মানুষের সাথে কয়েক ঘন্টা সময় অতিবাহিত করতে হয় সেটা।
আমার মেয়ে আলিনা কম্পিউটারে গেইম খেলতে খেলতে হঠাত করে আমাকে জিজ্ঞেস করল বাবা তোমার জব কি? আমি পড়ে গেলাম কিঞ্চিত চিন্তায়। আসলেই তো তাকে কিভাবে বোঝাই আমার আইটি প্রফেশনের কথা। আমার কাজ নিয়ে তার সাথে কখনোই আলোচনা হয়নি। - আমি একজন আইটি প্রফেশনাল মা। ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট...
উচ্চতর গনিত - সে আজো আমার মনে দাগ কেটে আছে। কেন এটা দরকার, কেন করেছিলাম তার কিছুই আমার মনে নেই। এখন সময় কাটে কোড এডিটর স্ক্রিনে আর কীবোর্ডের বোতাম টিপে। কোডিং যুক্তির কথা বলে। আমি শুধু উচ্চতর গনিতের যুক্তি বুঝতে পারিনি।
আমার শিশুকালে কেউ আমাকে আকাশের পরে কি আছে বলেনি। আমরা দৈত্য-দানো আর জুজুর ভয়ে বড় হয়েছি। আলিনাকে কখনো ভুতের ভয় দেখিয়ে খাওয়াইনি, ডাকাতের ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়াইনি। তবুও সে ভয় পায়।