পথ
আমি জয়িতার চোখের দিকে তাঁকিয়ে আছি। বয়সে সে আমার থেকে বেশ ক'বছর ছোট হবে। কিন্তু এই বেগুনি শাড়িটায় তাকে আমার থেকেও বড় লাগছে। হটাত করে মনে হচ্ছে সে আমার চিন্তার থেকেও অনেক বড় হয়ে গেছে।
আমি জয়িতার চোখের দিকে তাঁকিয়ে আছি। বয়সে সে আমার থেকে বেশ ক'বছর ছোট হবে। কিন্তু এই বেগুনি শাড়িটায় তাকে আমার থেকেও বড় লাগছে। হটাত করে মনে হচ্ছে সে আমার চিন্তার থেকেও অনেক বড় হয়ে গেছে।
আমি ফোনের ওপাশ থেকে অর্পার ফোঁপানির আওয়াজ পেলাম বলে মনে হল। কিছুক্ষন চুপ করে থেকেও যখন অর্পা কথা বলছিল না তখন আমি জানতে চাইলাম, আমি কি ফোন রেখে দেব? জানতাম আমার এই কথায় অর্পা আরো রেগে যাবে। মাঝে মাঝে কাছের কিছু মানুষকে অকারনেই রাগিয়ে দিতে ভালো লাগে। অর্পা আমার...
কিছু গল্প থাকে শেষ করা যায় না। মাথায় খন্ড খন্ড স্মৃতির মত টোকা দিতে থাকে। সেগুলোই-
আমি প্রচন্ড অবাক হয়ে আজমলের দিকে তাঁকিয়ে আছি। এ লোকটা একসময় দোর্দন্ড প্রতাপে এই এলাকায় ঘুরে বেড়াত। ত্রাস সৃষ্টি করেছিল সবার মনে। প্রায় একডজন খুনের মামলা এই লোকের নামে। একটাও প্রমান করা যায়নি। তার ভয়ে এলাকার কয়েক ঘর মানুষ রাতে নিজের ঘরেও ঘুমাতে সাহস পেত না। আজকে...
আশেপাশের মানুষের মুখে তৃপ্তির হাসি। একটা ধাড়ি লোক চকচকে একটা কালো রঙ্গের ব্যাগ বুকে আঁকড়ে ধরে কান্না করছে এটা সবাই বেশ স্বাভাবিক ভাবেই নিয়েছে। বেঁচে থাকার আনন্দ সবাই বোঝে। কিন্তু তারা কেউ খেয়াল করেনি লোকটার শরীর আর জামায় পানি-কাদা লেগে থাকলেও তার কালো ব্যাগটা একদম শুকনো আর ঝাঁ চকচকে নতুন।
মেয়েটা আমাকে বোকা বানিয়ে গেল, নাকি কিছুটা মায়া ছড়িয়ে গেল! আমি বৃষ্টি মাথায় নিয়ে শান্তিনগরের দিকে হাঁটা দিলাম। আমার হাতে রংচঙ্গে একটা প্যাকেট আর মাথায় মধ্যবিত্তের হিসেব।
মানুষের পরের প্রজাতি যারা এই যুদ্ধ-বিগ্রহের পৃথিবীকে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেবে, তারা সময়ের পেছনে গিয়ে নিজেদের অনুকুলে টাইম-স্পেসকে পরিবর্তনের চেষ্টা করে যাচ্ছে বারংবার।
সিড়িটা অনেক লম্বা - প্রথমে মনে হয়েছিল শ-খানেক হবে ধাপ। নীলা গুনে গুনে দেখছিল, কিন্তু একসময় হতাশ হয়ে সে গোনা ছেড়ে দিল। হাজারের উপরে গোনা হয়ে গেছে...। প্রতি ধাপে একটা করে মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সবাই ঈশ্বরের সামনে নিজের বিচার দেবার জন্য দাঁড়িয়ে। নীলার...
মাহির একটা হার্টবিট মিস করল। বুকের ভেতরটা মনে হচ্ছে কেউ খামচে ধরেছে হঠাৎ করে। রেলিং এর পাশে সরে গিয়ে নিচে নামার জায়গা ছেড়ে দিল মেয়েটিকে মাহির। চোখ তখনও মেয়েটির দিকে। মনে হচ্ছে একটা ভালোলাগার সাবলীল ঢেউ চলে যাচ্ছে সিঁড়ি বেয়ে।
কানের কাছে তিন চারটা মশা অনেকক্ষন থেকে ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে বেড়াচ্ছে। আমি চড় দিচ্ছি না, পাছে চটকনাটা আবার নিজের কানের উপর পড়ে। ধৈর্য বৎস ... ধৈর্য...। একটার গান দেখলাম একটু বেসুরো হয়ে গেল হঠাত করে। জেট প্লেনের মত গোত্তা খেয়ে আমার কনুইয়ের দিকে আগাচ্ছে আর ভোঁ...ও ও...