আলিনা অধ্যায় -১২: বেড়ে ওঠার গল্প
আমার শিশুকালে কেউ আমাকে আকাশের পরে কি আছে বলেনি। আমরা দৈত্য-দানো আর জুজুর ভয়ে বড় হয়েছি। আলিনাকে কখনো ভুতের ভয় দেখিয়ে খাওয়াইনি, ডাকাতের ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়াইনি। তবুও সে ভয় পায়।
আমার শিশুকালে কেউ আমাকে আকাশের পরে কি আছে বলেনি। আমরা দৈত্য-দানো আর জুজুর ভয়ে বড় হয়েছি। আলিনাকে কখনো ভুতের ভয় দেখিয়ে খাওয়াইনি, ডাকাতের ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়াইনি। তবুও সে ভয় পায়।
আমি প্রচন্ড অবাক হয়ে আজমলের দিকে তাঁকিয়ে আছি। এ লোকটা একসময় দোর্দন্ড প্রতাপে এই এলাকায় ঘুরে বেড়াত। ত্রাস সৃষ্টি করেছিল সবার মনে। প্রায় একডজন খুনের মামলা এই লোকের নামে। একটাও প্রমান করা যায়নি। তার ভয়ে এলাকার কয়েক ঘর মানুষ রাতে নিজের ঘরেও ঘুমাতে সাহস পেত না। আজকে...
যদিওবা ফিরব বলে ফেরা হয়নি আর, ঘরছাড়া মন কি চায় সে পথের সন্ধান?যে পথে তুমি নেই, আমি নেই, মায়া নেই, আছে শুধু ক্লান্তিকর এক অভিমান। ভাবব না আর কোন প্রেমের গল্পভেবে ভেবে ঠিক করি ধুরছাই , যেটুকু জীবন আছে অল্প। এক নিমিষেই যে প্রেম, দিন থেকে হয় বিকেল আর রাত্রিতার সাথে...
আশেপাশের মানুষের মুখে তৃপ্তির হাসি। একটা ধাড়ি লোক চকচকে একটা কালো রঙ্গের ব্যাগ বুকে আঁকড়ে ধরে কান্না করছে এটা সবাই বেশ স্বাভাবিক ভাবেই নিয়েছে। বেঁচে থাকার আনন্দ সবাই বোঝে। কিন্তু তারা কেউ খেয়াল করেনি লোকটার শরীর আর জামায় পানি-কাদা লেগে থাকলেও তার কালো ব্যাগটা একদম শুকনো আর ঝাঁ চকচকে নতুন।
আমাদের সময় কেটে যায় নির্লিপ্তততায়,আর আমরা আরেকটু এগুই মৃত্যুর দিকেশুধু শেষ কটি দিন কাটাই মূহুর্ত ফিরে পাবার আশায়। আমাদের হাতে ধরা থাকে ব্যস্ততার পাণ্ডুলিপি সময় হাতড়ে আমরা শুধু ছায়া খুঁজিঅথচ, যে দেহে আছে প্রান তার হিসেব না বুঝি। আমাদের ভালোবাসা রঙিন থেকে হচ্ছে...
আমরা আবার জন্ম নেব এই আশায় আকাশ ধরণীতে বৃষ্টি ঝরায় না,ওই মেঠো পথ আর শহুরে পথ মিলে মিশে একাকার করেএকটা ল্যাণ্ডস্কেপ হবে -কোন চিত্রকর তা ভাবেন না। সবাই এক পৃথিবীর জল-হাওয়ায় বড় হলেও - যার যার পথ ভিন্নভিন্ন সবার দেশ, গ্রাম আর মহল্লা। আমাদের হাতের পাঁচও সমান নয়আমরা একই...
আমি নাম কেটে দেই,ছায়া মুছে দেইআমি জেনেছি সমুদ্র সমান আঁধারেওএকা থাকো তুমি, নিজেকে নিয়ে বাঁচোআর কোথাও, কোন সময়েই ফেরা হবে না তোমার-না নীলে, না বিষাদে,না প্রেমে, না ঘৃনায়নয় দ্ব্যর্থহীন ভালোবাসায়। আমি নাম কেটে দেই, ছায়া মুছে দেই।আমি জেনেছি সমুদ্র সমান আঁধারেও আমি একা!...
কোন গোপন অসুখ নিয়ে প্রিয়ার কাছে আসিনিআসিনি প্রিয় মুখে চুম্বনের দাগ এঁকে দিতেগোপন কোন বাসনা নেই, অথবা অহেতুক অপরাধ।আমার যে অংশটা অনাদরে মলিন হয়েছেআর কোন মিহি প্রলেপ দাওনি যে ফ্রেমে,শুধু তার অধিকার নিতে এসেছি। তুমি প্রেমে পোড়ো না, স্বপ্ন দেখো না,আতশবাজি উঁচুতে উঠে...
বুকপকেটে অভিমানের চিঠি, ঠিকানা নেই জানা-
প্রাপক নিরুদ্দেশ,
তবু শহরভর্তি পোস্টবক্সের খোঁজে রাস্তায় নামা।