আবার দেখা হবে
আমাদের আবার দেখা হবে-
অনেক কাজ আছে বলেও দাঁড়িয়ে যাবো আরো অনেক্ষন
কারন এই বয়েসটায় আমাদের কোথাও যাবার থাকে না
নির্দিষ্ট করে কাউকে ভালোবাসার থাকে না
আমরা তখন বাহুডোরে কল্পনা করি সহস্র প্রেয়সীর... ।
আমার শুধু তুই আছিস বলে
তুই হাত বাড়ালেই রাস্তাটা হয়ে যাবে নদী
রিকশা হয়ে যাবে নৌকো, ছুঁয়ে দিস যদি-
ধূসর চোখে দেখব আকাশ, নীল সীমাহীন
তোর হাত ধরে জলে নামব সেদিন।
আসবে কি আবার ফিরে-
কত রাত, এত জল, ভীষন মায়ায়-
ভুলে যাওয়া মন সে অসহায়
যত পথ, তত পাপ, আমার ছায়ায় -
ডুবে যাওয়া প্রেম আলো বিলায়।
একটা বিকেল তোমার
আজন্ম গোপন প্রেম বুকে পুষে রেখে যে ছেলেটা সাহস করে
"ভালোবাসি" না বলে জিজ্ঞেস করেছে - "কেমন আছো?"
তার মাথায় না হয় এবার একটু হাত বুলিয়ে দিও।
আমার আমি ৬: মানুষ দেখি, বুঝি না
যদি মানুষ তার কল্পনাকে সীমাবদ্ধ করে ফেলে একটা ধর্ম বা সংস্কৃতির গন্ডিতে, তবে দুই মিলিয়ন বছরের ইভোলিউশন বৃথা যাবে।
আলিনা অধ্যায় -১৪: জল পড়ে, পাতা নড়ে
আমি বৃষ্টি পছন্দ করি, অতি বেশি পরিমানেই করি। যখনই বৃষ্টি পড়ে আমার ইচ্ছে করে শহরের রাস্তায় রিকশায় চেপে ছাতা মাথায় ঘুরতে। ছাতাটা অবশ্য আলিনার জন্য। সে বৃষ্টি পছন্দ করলেও ভিজতে খুব একটা চায় না। যখনই ঝুম বৃষ্টি পড়া শুরু হয়, দৌড় দিয়ে এসে আমাকে বলে যায়, "বাবা বৃষ্টি..."।
শুধু তোমায় বুঝিনা
আমি মানচিত্রের এপাশ থেকে ওপাশ খুঁজি
আমি দিন, মাস সময় বুঝি –
শুধু তোমায় বুঝিনা।
আমার একটা আকাশ নীল হয়ে যায় তবু তোমার সময় হয়না।
আমার না ফেরায় গৃহবন্দী বইয়েরা বাউন্ডুলে হয়ে যায়,
শুধু তোমার অভিমানে ধুলো জমে না।
আমার আমি – ৫: ত্রিশ এবং বন্ধুত্ব
খুব খুব মন খারাপের এই শহরে যে কথা প্রেমিকা বা স্ত্রীকেও বলা যায় না, অঝোরে কাদঁতে কাঁদতে সেকথা বন্ধুকে হুট করে বলে ফেলা যায়, নির্দ্বিধায়, নিঃসংকোচে।
পথ
আমি জয়িতার চোখের দিকে তাঁকিয়ে আছি। বয়সে সে আমার থেকে বেশ ক'বছর ছোট হবে। কিন্তু এই বেগুনি শাড়িটায় তাকে আমার থেকেও বড় লাগছে। হটাত করে মনে হচ্ছে সে আমার চিন্তার থেকেও অনেক বড় হয়ে গেছে।
