আমার ফিরতে বড় দেরি হয়ে যায়,
সব পাখি ঘরে ফেরে, আমি শুধু নীড় হারাই
আমার দেখা হয়না মমতায় বিছানো শিউলি ফুল-
আমি বুনো অর্কিডের আগুন বর্ণে মাতাল হই
হারিয়ে ফেলি শিমুলের ডাল আর কাঁঠাল চাপার সুবাস।
সবাই ঘরে ফেরে, আমি শুধু বিস্মৃত হই
আমার ভাঙনের সুরে আমি অ্যাটলান্টিক সমুদ্র তুলে আনতে গিয়ে-
হারিয়ে ফেলি শ্যাওলা দিঘির ঘাট।
আমার ফেরা হয় না-
আমি হারিয়ে যাই গ্রীক পুরাণে, দেবী আইসিসে
শুধু হারিয়ে ফেলি আমার উর্বর মাটির সোঁদা গন্ধ।
আবার যদি ফিরে আসি, যদি ফেরা হয় চেনা বটের ছায়ায়
তবে মানুষ করে দিও,
দেয়াল নয়, ভেঙ্গে পড়া বাতাস নয় …
এ মাটির একটা ঘাসফুল করে রেখে দিও পায়ের তলায়।
কবিতা
রৌদ্রের সিংহাসন
আমি খুব মন খারাপ করে আবার সিংহাসনে ফিরে গেলাম।
এরপর একদল দো'পেয়ে জানোয়ার মিছিল করে আসল আমার রাজ্যে
ওরা ইশ্বরের নামে পশুবলি দিতে চায়
আমি নিশ্চুপ থাকলাম, মানুষের রাজ্যের হিসেব খুব বুঝিনা।
এরাই যদি মানুষ হয় তবে হাজার বছর ধরে আমি কাদের খুঁজেছি?
একটা পাহাড় কিনতে চাই
একটা পাহাড় কিনব, তাই টাকা জমাচ্ছি
নিজের একটা পাহাড় হবে, ভাবতেই ভালো লাগে
কোন প্রিয়তমাকে উপহার দেবার জন্য নয়
শুধু নিজের জন্য, একান্তই আমার একটা জঙ্গল আর লুকিয়ে থাকার জায়গা হবে।
বাউন্ডুলে জীবন দর্শন
রাস্তায় গিয়ে আরো কিছুক্ষণ হিমু সেজে হাঁটাহাঁটি করতে পারি
যদিও মাঝরাতের পুলিশেরা বড্ড বেরসিক, পৃথিবীর নিঃসঙ্গতা বোঝে না,
ধরলেই সক্রেটিসের মত প্রশ্ন করবে, কে তুমি? কোথায় যাও?
ধ্যাত্তেরি! আমি কি অতশত জানি?
আমি কে, কোথায় যাবো - এই উত্তর খুঁজতেই তো রাস্তায় নেমেছি।
গল্প
হিসেব
মেয়েটা আমাকে বোকা বানিয়ে গেল, নাকি কিছুটা মায়া ছড়িয়ে গেল! আমি বৃষ্টি মাথায় নিয়ে শান্তিনগরের দিকে হাঁটা দিলাম। আমার হাতে রংচঙ্গে একটা প্যাকেট আর মাথায় মধ্যবিত্তের হিসেব।
হোমো সুপিরিওর
মানুষের পরের প্রজাতি যারা এই যুদ্ধ-বিগ্রহের পৃথিবীকে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেবে, তারা সময়ের পেছনে গিয়ে নিজেদের অনুকুলে টাইম-স্পেসকে পরিবর্তনের চেষ্টা করে যাচ্ছে বারংবার।
ঈশ্বরের অশ্রু
সিড়িটা অনেক লম্বা - প্রথমে মনে হয়েছিল শ-খানেক হবে ধাপ। নীলা গুনে গুনে দেখছিল, কিন্তু একসময় হতাশ হয়ে সে গোনা ছেড়ে দিল। হাজারের উপরে গোনা হয়ে গেছে...। প্রতি ধাপে একটা করে মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সবাই ঈশ্বরের সামনে নিজের বিচার দেবার জন্য দাঁড়িয়ে। নীলার...