আমার ফিরতে বড় দেরি হয়ে যায়,
সব পাখি ঘরে ফেরে, আমি শুধু নীড় হারাই
আমার দেখা হয়না মমতায় বিছানো শিউলি ফুল-
আমি বুনো অর্কিডের আগুন বর্ণে মাতাল হই
হারিয়ে ফেলি শিমুলের ডাল আর কাঁঠাল চাপার সুবাস।
সবাই ঘরে ফেরে, আমি শুধু বিস্মৃত হই
আমার ভাঙনের সুরে আমি অ্যাটলান্টিক সমুদ্র তুলে আনতে গিয়ে-
হারিয়ে ফেলি শ্যাওলা দিঘির ঘাট।
আমার ফেরা হয় না-
আমি হারিয়ে যাই গ্রীক পুরানে, দেবতা আইসিসে
শুধু হারিয়ে ফেলি আমার উর্বর মাটির সোঁদা গন্ধ।
আবার যদি ফিরে আসি, যদি ফেরা হয় চেনা বটের ছায়ায়
তবে মানুষ করে দিও,
দেয়াল নয়, ভেঙ্গে পড়া বাতাস নয় …
এ মাটির একটা ঘাসফুল করে রেখে দিও পায়ের তলায়।
কবিতা
সময়ের হাঁট
জীবনের হাঁটে সওদা করতে গিয়ে
কিছু দোকানি মাপে ভুল দেয়, কিছু ক্রেতা ঠকে
আসলে মানুষ অন্যকে ঠকায় না, নিজেই শেষে ঠকে যায়।
আমার কোথাও যাবার নেই
ধরো এক কাপ চা হাতে নিয়ে আমি বারান্দায় বসেছি
চড়ুই পাখির খড়কুটো নিয়ে মারামারিটা সকালে বেশ উপভোগ্য
কিংবা, ধরো এমনিতেই চোখ বন্ধ করে আমার প্রিয় চেয়ারটায় একটু স্বপ্ন দেখি
কি ভাবি?
বিশ্বাস বিক্রি হয়ে গেছে
সব কিছু নষ্টদের দখলেই ছিল এবং থাকবে
শুধু সময় পরিবর্তন করে কি বোঝালে-
আমার থেকে তুমি ভালো এবং তার থেকে তারা?
তুমি শুধু অন্ধকারটাই দেখলে, আলোটা নেভালে ,
নতুন আলো কোথায়?
সব কিছু অন্ধকারেই ছিল এবং থাকবে
তুমি শুধু দীর্ঘশ্বাস বাড়ালে।
গল্প
হিসেব
মেয়েটা আমাকে বোকা বানিয়ে গেল, নাকি কিছুটা মায়া ছড়িয়ে গেল! আমি বৃষ্টি মাথায় নিয়ে শান্তিনগরের দিকে হাঁটা দিলাম। আমার হাতে রংচঙ্গে একটা প্যাকেট আর মাথায় মধ্যবিত্তের হিসেব।
হোমো সুপিরিওর
মানুষের পরের প্রজাতি যারা এই যুদ্ধ-বিগ্রহের পৃথিবীকে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেবে, তারা সময়ের পেছনে গিয়ে নিজেদের অনুকুলে টাইম-স্পেসকে পরিবর্তনের চেষ্টা করে যাচ্ছে বারংবার।
ঈশ্বরের অশ্রু
সিড়িটা অনেক লম্বা - প্রথমে মনে হয়েছিল শ-খানেক হবে ধাপ। নীলা গুনে গুনে দেখছিল, কিন্তু একসময় হতাশ হয়ে সে গোনা ছেড়ে দিল। হাজারের উপরে গোনা হয়ে গেছে...। প্রতি ধাপে একটা করে মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সবাই ঈশ্বরের সামনে নিজের বিচার দেবার জন্য দাঁড়িয়ে। নীলার...