আমার ফিরতে বড় দেরি হয়ে যায়,
সব পাখি ঘরে ফেরে, আমি শুধু নীড় হারাই
আমার দেখা হয়না মমতায় বিছানো শিউলি ফুল-
আমি বুনো অর্কিডের আগুন বর্ণে মাতাল হই
হারিয়ে ফেলি শিমুলের ডাল আর কাঁঠাল চাপার সুবাস।
সবাই ঘরে ফেরে, আমি শুধু বিস্মৃত হই
আমার ভাঙনের সুরে আমি অ্যাটলান্টিক সমুদ্র তুলে আনতে গিয়ে-
হারিয়ে ফেলি শ্যাওলা দিঘির ঘাট।
আমার ফেরা হয় না-
আমি হারিয়ে যাই গ্রীক পুরানে, দেবতা আইসিসে
শুধু হারিয়ে ফেলি আমার উর্বর মাটির সোঁদা গন্ধ।
আবার যদি ফিরে আসি, যদি ফেরা হয় চেনা বটের ছায়ায়
তবে মানুষ করে দিও,
দেয়াল নয়, ভেঙ্গে পড়া বাতাস নয় …
এ মাটির একটা ঘাসফুল করে রেখে দিও পায়ের তলায়।
কবিতা
পথ চলে গেছে একাই
যেতে যেতে ফিরে দেখি
পাশে হাঁটার কেউ নেই
ভালো নেই, মন ভালো নেই
পথটা আর চেনা নেই।
তোমাকে দেখার অসুখ
আমাকে দেখার অসুখ থাকুক
আরেকটু বেঁচে থাকুক আশার প্রহর
এ জন্মটা যার দানে পাওয়া
তার কাছে কিছুটা ভালোবাসা ফিরুক।
আর দেখা হয় নি, ফেরা হয়নি
শেষবার কবে একসাথে সমুদ্রস্নানে নেমেছিলাম মনে আছে?
নির্ভার হয়ে এলিয়ে দিয়েছিলাম লবনাক্ত দেহ,
আমাদেরও সেরকম সময় ছিল-
আকাশে নীল ছিল, উত্তাল ছিলো জলকণারা।
গল্প
বৃষ্টি বিলাস
যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম, মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে করত সারারাত হাঁটব শহরের ওমাথা থেকে এমাথা পর্যন্ত। রাত যত গভীর হবে শহরের রূপ তত খোলে। কোন ব্যস্ততায় জানিনা সেটা আর হয়ে ওঠেনি। যখন হলে থাকতাম, আমি আর জহির মাঝে মাঝেই বের হয়ে যেতাম টিএসসির উদ্দেশ্যে। বিশেষ কোন কাজে নয় এমনিতেই। নানারকম জীবন দর্শনের কথা হোত জহিরের সাথে আমার। ক্লাসমেট বন্ধুদের মধ্যে মনে হয় জহিরই একটু আধটু আমাকে বোঝার চেষ্টা করত।
ভ্রমন
পৃথিবীর অনেক দেশেই এখন আর বর্ডার নেই। সবাই বর্ডার থেকে তাদের সৈন্য আর চেকপোস্ট প্রত্যাহার করে নিয়েছে। মানুষের জন্মের সময়ই সবাইকে একটা চিপ দিয়ে দেয়া হয় শরীরের ভেতর, তাতেই তার পরিচয় থাকে। সে যেখানে খুশি ভ্রমন করতে পারে, যে কোন পেশায় যোগ দিতে পারে যোগ্যতা অনুযায়ী। তাকে বাধা দেবার কেউ নেই।
বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর
বৃষ্টি না হয় বোঝা গেল… কিন্তু টাপুর টুপুর আবার কি জিনিস? কে এই শিব ঠাকুর? আর কন্যারা কেন রাঁধেন? রান্নাটা আসলে কি? নাহ একবার গ্যালাকটিক লাইব্রেরীতে দেখতেই হচ্ছে। বুঝতে না পারলে ব্যাপারটা মাথা থেকে নামানো যাচ্ছে না। বড় গোলমেলে প্রজাতি।