আলিনা অধ্যায় ২৪: কল্পলোকের গল্প
কবিতা হচ্ছে ভাষা ব্যবহারে একজন মানুষের সর্বোচ্চ দক্ষতার পরিচয়। এমন কোন লেখক পাওয়া যাবে না, যিনি একটা হলেও কবিতা লেখেননি। জীবনের কোন না কোন সময়ে তিনি এই জাদু দেখাবার চেষ্টা করেছেন।
কবিতা হচ্ছে ভাষা ব্যবহারে একজন মানুষের সর্বোচ্চ দক্ষতার পরিচয়। এমন কোন লেখক পাওয়া যাবে না, যিনি একটা হলেও কবিতা লেখেননি। জীবনের কোন না কোন সময়ে তিনি এই জাদু দেখাবার চেষ্টা করেছেন।
আলিনার স্কুলে নতুন ক্যান্টিন খোলা হবে। স্কুল ছুটির পর আনন্দের সাথে আমাকে জানিয়েছে সে। বলেছে ক্যাণ্টিন খুললে সে আর বাসা থেকে টিফিন আনবে না, শুধু টাকা নিয়ে আসবে।- আজকে টাকা নিয়ে আসোনি?- এনেছি তো, আজকে একটা চিকেন ফ্রাই খেয়েছি। ৫০ টাকা দিয়ে বার্গারও আছে। আরো অনেক কিছু...
জুলাইটা খুব দুঃসহ হয়ে দেখা দিলো। স্কুলের পরীক্ষা শেষ হতে পারল না। তার আগেই দেশজুড়ে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়ে গেলো। সবকিছু বন্ধ করে দিয়ে শেষ রক্ষার চেষ্টা করলেন মাননীয়া, তাও পারলেন না। অনেকটা - "দ্বার বন্ধ করে দিয়ে ভ্রমটারে রুখি, সত্য বলে, আমি তবে কোথা দিয়ে ঢুকি" - এর মত অবস্থা।
একটার পর একটা লাশ পড়তে লাগল। পরিস্থিতি হয়ে গেলো ভয়ানক।
রহস্য...। অসীম মহাবিশ্ব্ব আমাদের জন্য অনেক রহস্য লুকিয়ে রেখেছে। একজীবন এইটা অনুসন্ধান করে কাটিয়ে দিতে চাই।
আমাদের দরকার বাচ্চাদের যুক্তি শেখানো। যাতে একটা সময় গিয়ে তারা জীবনের কঠিন সিদ্ধান্ত গুলো নিতে আবেগের পরিবর্তে যুক্তির স্মরণ নেয়। যুক্তি আপনাকে হারতে দেবে না। মানুষ হিসেবে যতবারই পড়ে যাবেন, যুক্তি আপনাকে ততবারই পেছন থেকে তুলে ধরার চেষ্টা করবে।
রান্না করাটা আপনাকে শিখতেই হবে। এটা বেঁচে থাকার জন্য দরকার। আপনার সন্তানের ভবিষ্যতের দিকে তাঁকিয়ে দয়া করে তাকে রান্নার ট্রেনিং দিন। ছেলে হোক বা মেয়ে, তাকে এটা শেখানো জরুরী। পরিচ্ছন্নতার শিক্ষাও সে রান্না শিখতে গিয়ে পেয়ে যাবে।
আমি বেশ আগ্রহ নিয়ে নতুন শিক্ষানীতি দেখলাম। খারাপ কিছু খুঁজে পাইনি। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে পরিবর্তন আসবেই। যদি পরিবর্তন মেনে নিতে না পারেন তবে হারিয়ে যাবেন।
কয়দিন থেকে একটা গান খুব বেশি মাথার ভেতরে বাজছে, কোক স্টুডিও বাংলা, সিজন ২ এর "বনবিবি"। এর আগে আরেকটা গান শুনেছিলাম অর্ণবের সন্ধ্যাতারা। সেটাও পরপর কয়েকবার শুনেছিলাম অর্ণবের জাদুকরি গলার জন্য। আর এখন বনবিবি গানটা যতবার শুনি ততবারই ভালো লাগে। তপুর গলায় কেমন যেন একটা...
সব মানুষেরই একটা গোপন খাতা থাকে। সে যত বড় হয় সেখানে একটা একটা করে নাম লেখে সে। প্রিয় মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। বয়স আরো পেরোয়, নাম লেখার সংখ্যা কমতে থাকে, এবার কাটার পালা। প্রিয় মানুষের তালিকা থেকে কাউকে ছেঁটে ফেলা খুব কষ্টকর একটা প্রক্রিয়া। সেই কাটাকাটি যখন শেষ হয়, সেই মানুষটা আমাদের কাছে মরে যায়।
বৃষ্টি আমার আর আলিনা দুজনেরই পছন্দের। বাবার অনেক জিনিস তার অপছন্দ হলেও কিভাবে যেন আমার এই একটা রোগ তার মাঝখানেও একটু ছড়িয়ে গেছে।