আমার ফিরতে বড় দেরি হয়ে যায়,
সব পাখি ঘরে ফেরে, আমি শুধু নীড় হারাই
আমার দেখা হয়না মমতায় বিছানো শিউলি ফুল-
আমি বুনো অর্কিডের আগুন বর্ণে মাতাল হই
হারিয়ে ফেলি শিমুলের ডাল আর কাঁঠাল চাপার সুবাস।
সবাই ঘরে ফেরে, আমি শুধু বিস্মৃত হই
আমার ভাঙনের সুরে আমি অ্যাটলান্টিক সমুদ্র তুলে আনতে গিয়ে-
হারিয়ে ফেলি শ্যাওলা দিঘির ঘাট।
আমার ফেরা হয় না-
আমি হারিয়ে যাই গ্রীক পুরানে, দেবতা আইসিসে
শুধু হারিয়ে ফেলি আমার উর্বর মাটির সোঁদা গন্ধ।
আবার যদি ফিরে আসি, যদি ফেরা হয় চেনা বটের ছায়ায়
তবে মানুষ করে দিও,
দেয়াল নয়, ভেঙ্গে পড়া বাতাস নয় …
এ মাটির একটা ঘাসফুল করে রেখে দিও পায়ের তলায়।
কবিতা
পথ চলে গেছে একাই
যেতে যেতে ফিরে দেখি
পাশে হাঁটার কেউ নেই
ভালো নেই, মন ভালো নেই
পথটা আর চেনা নেই।
তোমাকে দেখার অসুখ
আমাকে দেখার অসুখ থাকুক
আরেকটু বেঁচে থাকুক আশার প্রহর
এ জন্মটা যার দানে পাওয়া
তার কাছে কিছুটা ভালোবাসা ফিরুক।
আর দেখা হয় নি, ফেরা হয়নি
শেষবার কবে একসাথে সমুদ্রস্নানে নেমেছিলাম মনে আছে?
নির্ভার হয়ে এলিয়ে দিয়েছিলাম লবনাক্ত দেহ,
আমাদেরও সেরকম সময় ছিল-
আকাশে নীল ছিল, উত্তাল ছিলো জলকণারা।
গল্প
হোমো সুপিরিওর
মানুষের পরের প্রজাতি যারা এই যুদ্ধ-বিগ্রহের পৃথিবীকে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেবে, তারা সময়ের পেছনে গিয়ে নিজেদের অনুকুলে টাইম-স্পেসকে পরিবর্তনের চেষ্টা করে যাচ্ছে বারংবার।
ঈশ্বরের অশ্রু
সিড়িটা অনেক লম্বা - প্রথমে মনে হয়েছিল শ-খানেক হবে ধাপ। নীলা গুনে গুনে দেখছিল, কিন্তু একসময় হতাশ হয়ে সে গোনা ছেড়ে দিল। হাজারের উপরে গোনা হয়ে গেছে...। প্রতি ধাপে একটা করে মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সবাই ঈশ্বরের সামনে নিজের বিচার দেবার জন্য দাঁড়িয়ে। নীলার...
নাম বলা হয়নি –
মাহির একটা হার্টবিট মিস করল। বুকের ভেতরটা মনে হচ্ছে কেউ খামচে ধরেছে হঠাৎ করে। রেলিং এর পাশে সরে গিয়ে নিচে নামার জায়গা ছেড়ে দিল মেয়েটিকে মাহির। চোখ তখনও মেয়েটির দিকে। মনে হচ্ছে একটা ভালোলাগার সাবলীল ঢেউ চলে যাচ্ছে সিঁড়ি বেয়ে।