এখানে যাদের বসবাস
তারা বেশ শান্তির ঘুমে আছে
তাদের বিরক্ত কোরোনা-
তারা আমাদের থেকে আনন্দে আছে,
তারা ভালো আছে।
তারা বেশ শান্তির ঘুমে আছে
তাদের বিরক্ত কোরোনা-
তারা আমাদের থেকে আনন্দে আছে,
তারা ভালো আছে।
বেঁচে থাক আমার শৈশব বেঁচে থাক
আমার নাটাই-ঘুড়ি, সুতোর কাটাকাটি
দেয়ালে পেয়ারা আর ঘাস ফড়িঙে মাতামাতি
গুড়গুড় বর্ষায় দুরুদুরু বুকে আলতো পায়ে
একছুটে ঘর থেকে আমতলা
রাজ্যের ভয় আর উল্লাস থাকুক জমা।
মাঝে মাঝে শুধু মায়া জন্মাতে আসি
আঙুলে ছুঁয়ে দিয়ে বলে যাই আছি
আমি ছায়ার মত, মায়ায় জড়িয়ে
রৌদ্র খরতাপ শেষে-
আছি… আমি অপেক্ষায় আছি।
শুধু তোমার কাছে শুদ্ধ হব বলে,
বাদ দিয়েছি রাত জাগা
ঘুম ছেড়ে কাব্য গাঁথা।
শুধু বাঁচব বলে এই নিঃশ্বাসে
ভুলতে চেয়েছি হাজার চোখে
অহেতুক স্বপ্ন দেখা।
একশত বছর পরের কথা -
তুমি, আমি, অন্য কেউ নেই
পরিচিত একটাও মুখ নেই
আদর বা অভিমানে সুখ নেই।
শুধু মুখপানে চেয়ে কাটিয়ে দেব
আরো এক হাজার বছর,
শুধু তুমি এমন ঝড়ো রাতের-
খেয়ালি বাতাস হয়ে বয়ে যেও।
এখানে যখন তখন সন্ধ্যা নামে
নামে যমদূতের মত কালো নিকষ আঁধার
এখানে রাতগুলো ভোর না হয়ে কুয়াশায় ঢেকে যায় দিগন্ত
ঘাসফুলের বুকে জমে যায় আকাশের কান্না।
আমাদের আবার দেখা হবে-
অনেক কাজ আছে বলেও দাঁড়িয়ে যাবো আরো অনেক্ষন
কারন এই বয়েসটায় আমাদের কোথাও যাবার থাকে না
নির্দিষ্ট করে কাউকে ভালোবাসার থাকে না
আমরা তখন বাহুডোরে কল্পনা করি সহস্র প্রেয়সীর... ।
তুই হাত বাড়ালেই রাস্তাটা হয়ে যাবে নদী
রিকশা হয়ে যাবে নৌকো, ছুঁয়ে দিস যদি-
ধূসর চোখে দেখব আকাশ, নীল সীমাহীন
তোর হাত ধরে জলে নামব সেদিন।
কত রাত, এত জল, ভীষন মায়ায়-
ভুলে যাওয়া মন সে অসহায়
যত পথ, তত পাপ, আমার ছায়ায় -
ডুবে যাওয়া প্রেম আলো বিলায়।