ইচ্ছের মানুষ
অনেক গভীর ইচ্ছেরাও মাঝে সাঝে দুহাত বাড়িয়ে
তল পায়না এই হতচ্ছাড়া গভীরে
যারা স্বপ্ন দেখেছিল, অনেক নতুন ভোরের
তারাও এখন সাদাকালো
শুধু পৃথিবীর পথে রয়ে গেছে কিছু ধুলোবালি
অনেক গভীর ইচ্ছেরাও মাঝে সাঝে দুহাত বাড়িয়ে
তল পায়না এই হতচ্ছাড়া গভীরে
যারা স্বপ্ন দেখেছিল, অনেক নতুন ভোরের
তারাও এখন সাদাকালো
শুধু পৃথিবীর পথে রয়ে গেছে কিছু ধুলোবালি
মাঝে মাঝে মানুষ দেখতে বের হই,
নিজের একান্ত সময় থেকে।
পেছনে পড়ে থাকে ঘর-বাড়ি, মায়া, প্রেম
প্রেম রাস্তাতেও থাকে, উদার... মোলায়েম হাসিমাখা
কিন্তু চারদেয়ালের মাঝে -সে হিংস্র, তার আদিম চেহারায়।
আমি তাই মুখোশের মানুষ দেখতে বের হই।
আমি মিছিলেও একা থেকেছি
অরণ্যে নিঃশব্দে এঁকেছি সবুজের গল্প
সবার কি স্লোগানে মুখর হবার কথা ছিল?
কেউ কেউ এক মূহুর্ত নিরবতার জন্য পাড়ি দিয়েছে পঞ্চাশ বছর।
তারা বেশ শান্তির ঘুমে আছে
তাদের বিরক্ত কোরোনা-
তারা আমাদের থেকে আনন্দে আছে,
তারা ভালো আছে।
বেঁচে থাক আমার শৈশব বেঁচে থাক
আমার নাটাই-ঘুড়ি, সুতোর কাটাকাটি
দেয়ালে পেয়ারা আর ঘাস ফড়িঙে মাতামাতি
গুড়গুড় বর্ষায় দুরুদুরু বুকে আলতো পায়ে
একছুটে ঘর থেকে আমতলা
রাজ্যের ভয় আর উল্লাস থাকুক জমা।
মাঝে মাঝে শুধু মায়া জন্মাতে আসি
আঙুলে ছুঁয়ে দিয়ে বলে যাই আছি
আমি ছায়ার মত, মায়ায় জড়িয়ে
রৌদ্র খরতাপ শেষে-
আছি… আমি অপেক্ষায় আছি।
শুধু তোমার কাছে শুদ্ধ হব বলে,
বাদ দিয়েছি রাত জাগা
ঘুম ছেড়ে কাব্য গাঁথা।
শুধু বাঁচব বলে এই নিঃশ্বাসে
ভুলতে চেয়েছি হাজার চোখে
অহেতুক স্বপ্ন দেখা।
একশত বছর পরের কথা -
তুমি, আমি, অন্য কেউ নেই
পরিচিত একটাও মুখ নেই
আদর বা অভিমানে সুখ নেই।
শুধু মুখপানে চেয়ে কাটিয়ে দেব
আরো এক হাজার বছর,
শুধু তুমি এমন ঝড়ো রাতের-
খেয়ালি বাতাস হয়ে বয়ে যেও।
এখানে যখন তখন সন্ধ্যা নামে
নামে যমদূতের মত কালো নিকষ আঁধার
এখানে রাতগুলো ভোর না হয়ে কুয়াশায় ঢেকে যায় দিগন্ত
ঘাসফুলের বুকে জমে যায় আকাশের কান্না।