স্কুল বারান্দা
শৈশব পুড়ে যায়
ছুটির ঘন্টায়
খুব চেনা ক্লাসরুম-
বাদলা দিনের ক্ষনটায়।
আমাদের অনেক না পাওয়ার, না হওয়ার স্বপ্ন থাকে
আমরা পুরুষ হয়ে ভূলে থাকার যন্ত্রনায় রঙ চা খাই
এরকম আরেকটা শুক্রবার আসবে
তাই বৃহস্পতিবার রাতে আমরা ষড়যন্ত্র করি।
আমি একা বাঁচার প্রত্যয় নিয়ে প্রতিদিন ঘুম থেকে জাগি
কারো কাছে কিছু চাওয়ার নেই, অভিযোগ নেই,
এই বেশ স্বাদহীন স্বাধীনতা উপভোগ করছি।
ভালোবাসা পানির মত, শুধু গড়িয়ে যায়।
অবহেলায়, আর অহংকারে যে সময় চলে গেছে
সে ফিরে আসবে না, যেমন এই তারুণ্য আর সবুজের গান।
এখানেই যতিচিহ্ন, বিরামের কোন অবকাশ নেই,
সময় সবচেয়ে বড় ঘাতক, প্রেমেরও পরিত্রান নেই।
আমি তৃণভোজী নই বলে, আজন্ম আফসোস রয়ে যাবে
রক্ত মাংসের স্বাদ বড় তীব্র, অবহেলা করা পাপ।
নিজেকে বঞ্চিত করার মত মহাপুরুষ আমি নই
তাই, হিসেবের খাতায়, তুমি, আমি অথবা অন্য কেউ মরে যায়।
যোদ্ধারা যুদ্ধ চায় না,
যারা চায় তারা যুদ্ধে যায় না।
শান্তি আর গণতন্ত্রের নামে যে যুদ্ধে তোমরা নামো
তা সৃষ্টির বিরুদ্ধে, ঈশ্বরের বিরুদ্ধে।
অনেক গভীর ইচ্ছেরাও মাঝে সাঝে দুহাত বাড়িয়ে
তল পায়না এই হতচ্ছাড়া গভীরে
যারা স্বপ্ন দেখেছিল, অনেক নতুন ভোরের
তারাও এখন সাদাকালো
শুধু পৃথিবীর পথে রয়ে গেছে কিছু ধুলোবালি
মাঝে মাঝে মানুষ দেখতে বের হই,
নিজের একান্ত সময় থেকে।
পেছনে পড়ে থাকে ঘর-বাড়ি, মায়া, প্রেম
প্রেম রাস্তাতেও থাকে, উদার... মোলায়েম হাসিমাখা
কিন্তু চারদেয়ালের মাঝে -সে হিংস্র, তার আদিম চেহারায়।
আমি তাই মুখোশের মানুষ দেখতে বের হই।
আমি মিছিলেও একা থেকেছি
অরণ্যে নিঃশব্দে এঁকেছি সবুজের গল্প
সবার কি স্লোগানে মুখর হবার কথা ছিল?
কেউ কেউ এক মূহুর্ত নিরবতার জন্য পাড়ি দিয়েছে পঞ্চাশ বছর।
তারা বেশ শান্তির ঘুমে আছে
তাদের বিরক্ত কোরোনা-
তারা আমাদের থেকে আনন্দে আছে,
তারা ভালো আছে।