আলিনা অধ্যায় ২২: রক্তঝরা জুলাই (২০২৪) এবং তারার সন্তানেরা

জুলাইটা খুব দুঃসহ হয়ে দেখা দিলো। স্কুলের পরীক্ষা শেষ হতে পারল না। তার আগেই দেশজুড়ে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়ে গেলো। সবকিছু বন্ধ করে দিয়ে শেষ রক্ষার চেষ্টা করলেন মাননীয়া, তাও পারলেন না। অনেকটা - "দ্বার বন্ধ করে দিয়ে ভ্রমটারে রুখি, সত্য বলে, আমি তবে কোথা দিয়ে ঢুকি" - এর মত অবস্থা।

একটার পর একটা লাশ পড়তে লাগল। পরিস্থিতি হয়ে গেলো ভয়ানক।

আলিনা অধ্যায় ২২: রক্তঝরা জুলাই (২০২৪) এবং তারার সন্তানেরা 2

আর দেখা হয় নি, ফেরা হয়নি

শেষবার কবে একসাথে সমুদ্রস্নানে নেমেছিলাম মনে আছে?
নির্ভার হয়ে এলিয়ে দিয়েছিলাম লবনাক্ত দেহ,
আমাদেরও সেরকম সময় ছিল-
আকাশে নীল ছিল, উত্তাল ছিলো জলকণারা।

আর দেখা হয় নি, ফেরা হয়নি 4

আলিনা অধ্যায় ২১: এই মেঘ, এই রোদ্দুর

আমাদের দরকার বাচ্চাদের যুক্তি শেখানো। যাতে একটা সময় গিয়ে তারা জীবনের কঠিন সিদ্ধান্ত গুলো নিতে আবেগের পরিবর্তে যুক্তির স্মরণ নেয়। যুক্তি আপনাকে হারতে দেবে না। মানুষ হিসেবে যতবারই পড়ে যাবেন, যুক্তি আপনাকে ততবারই পেছন থেকে তুলে ধরার চেষ্টা করবে।

আলিনা অধ্যায় ২১: এই মেঘ, এই রোদ্দুর 5

আমার ফেরা না ফেরার অপ্রেম

আলো নিভে যাবার আগে, ফিরে এসো শেষবার
আমি জোনাকি হয়ে ঘাসের ডগায় রাত পোহাবার অপেক্ষায়।
হেমন্তের খোলা মাঠে, দুরন্ত বাতাসের সাথে
ফিসফিস করে শোনাবো রাত্রির গান।

আমার ফেরা না ফেরার অপ্রেম 6

বৃষ্টি বিলাস

যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম, মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে করত সারারাত হাঁটব শহরের ওমাথা থেকে এমাথা পর্যন্ত। রাত যত গভীর হবে শহরের রূপ তত খোলে। কোন ব্যস্ততায় জানিনা সেটা আর হয়ে ওঠেনি। যখন হলে থাকতাম, আমি আর জহির মাঝে মাঝেই বের হয়ে যেতাম টিএসসির উদ্দেশ্যে। বিশেষ কোন কাজে নয় এমনিতেই। নানারকম জীবন দর্শনের কথা হোত জহিরের সাথে আমার। ক্লাসমেট বন্ধুদের মধ্যে মনে হয় জহিরই একটু আধটু আমাকে বোঝার চেষ্টা করত।

বৃষ্টি বিলাস 8

ভ্রমন

পৃথিবীর অনেক দেশেই এখন আর বর্ডার নেই। সবাই বর্ডার থেকে তাদের সৈন্য আর চেকপোস্ট প্রত্যাহার করে নিয়েছে। মানুষের জন্মের সময়ই সবাইকে একটা চিপ দিয়ে দেয়া হয় শরীরের ভেতর, তাতেই তার পরিচয় থাকে। সে যেখানে খুশি ভ্রমন করতে পারে, যে কোন পেশায় যোগ দিতে পারে যোগ্যতা অনুযায়ী। তাকে বাধা দেবার কেউ নেই।

ভ্রমন 9

Pin It on Pinterest