ঘৃনায় বসতি

Apr 2, 2022কবিতা0 comments

এখন আর কাউকে শোধরাই না
না পাখিদের, না বেজন্মাদের
শুধু শুয়োরের বাচ্চাদের চিনে রাখি-
আর আজন্ম অভিশাপ দেই,
কালো তালিকায় নাম তুলে।

যখন প্রচন্ড আক্রোশে ভেতরটা মুচড়ে আসে
আমি হাসি, হায়েনার মত, প্রেতের মত নিঃশব্দে
জানি সময় বদলাবে, জানি তোমাদের ছায়া সংকীর্ণ
তোমরা বাঁচো সরিসৃপের মত করে, বুকে ভর দিয়ে
ঘৃনা ছড়িয়ে জীবন কাটে তোমাদের।

এখন আর শোধরাই না কাউকে,
শুধু শব্দ ঘৃনা আমার সাদা কাগজে ভরে যায়।

জানি সভ্যতার প্রাচীরে তোমাদের কোন অবদান নেই,
অথবা শুধু কিছু আবর্জনার স্তুপ জমাবে।

নির্বান তোমরা অনির্বান আগুনে জ্বলবে,
যেভাবে ঘৃনা তুমি ছড়াও, তার কিয়দংশ –
তুমি ফেরত পাবে ধুলোয় মিশে যাবার আগে।

তোমাদের ঈশ্বর প্রস্তুত আছেন
ভয়াবহ রকমের সত্য নিয়ে।


আমি সবসময়ই চেষ্টা করি সংযত ভাষা ব্যবহার করতে। চাইনা আমার লেখা পড়ে কেউ ভাবুক আমি একটা অসভ্য। কিন্তু সবাইকে খুশি করা আমার পক্ষে সম্ভব নয় আর সেটা আমার কাজও নয়। প্রতিনিয়ত আশেপাশে এই ইতর আর উন্মাদদের দেখতে দেখতে নিজের ভেতরে অসহ্য রাগ হয়।

একটা মানুষ মারা গেল রোড এক্সিডেন্টে, আর এই শুয়োরের ফেইসবুক সয়লাব করে ফেলেছে সে জান্নাতে যাবে না জাহান্নামে যাবে সেটা নিয়ে। সে পর্দা করত কিনা সেটা তাদের গবেষনার বিষয়। তার লিংগ পরিচয়ে সে যখন একটা মেয়ে মানুষ তখন তারা ঠিক করে ফেলে- রাস্তায় স্কুটি চালানোটাই ভুল হয়েছে মেয়েটার।

অথচ কেউ বলে না, আমাদের সড়কের নিরাপত্তা নাই, কেউ বলে না আমরা আরও কতটা উদার হতে পারতাম। একবার গিয়ে পারলে তার পরিবারের সামনে, তার মা-বাবার সামনে তার জান্নাত-জাহান্নামে যাবার যুক্তি দিয়ে দেখ তোমার কি হাল হয়।

সর্বশক্তিমান তোমাদের সবকিছু দিয়েছেন শুধু মনে মানব প্রেম আর মাথায় বুদ্ধি দেননি।

0 Comments

মন্তব্য

দেলোয়ার জাহান

মনের একান্তে কিছু কথা থাকে যা কাউকে বলা যায় না। বলতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু প্রতিনিয়ত কুরে কুরে খায় আমাকে। সে সকল হাবিজাবি জীবন দর্শন আর কিছু অসময়ের কাব্য নিয়ে আমার লেখালেখির ভুবন।

Pin It on Pinterest

Share This