আর দেখা হয় নি, ফেরা হয়নি
শেষবার কবে একসাথে সমুদ্রস্নানে নেমেছিলাম মনে আছে?
নির্ভার হয়ে এলিয়ে দিয়েছিলাম লবনাক্ত দেহ,
আমাদেরও সেরকম সময় ছিল-
আকাশে নীল ছিল, উত্তাল ছিলো জলকণারা।
শেষবার কবে একসাথে সমুদ্রস্নানে নেমেছিলাম মনে আছে?
নির্ভার হয়ে এলিয়ে দিয়েছিলাম লবনাক্ত দেহ,
আমাদেরও সেরকম সময় ছিল-
আকাশে নীল ছিল, উত্তাল ছিলো জলকণারা।
আলো নিভে যাবার আগে, ফিরে এসো শেষবার
আমি জোনাকি হয়ে ঘাসের ডগায় রাত পোহাবার অপেক্ষায়।
হেমন্তের খোলা মাঠে, দুরন্ত বাতাসের সাথে
ফিসফিস করে শোনাবো রাত্রির গান।
এখন একা থাকতে চাই
খুব নীরব দুপুরের রাস্তার মত
ছায়ায় বসে থেকে এক-দুজন
- পথিক দেখব।
তুবু ওদের সবটাই চাই, আরো চাই সৈকতের বালি
আমি একরাশ পাপে ডুবে যাই।
আমার হাতে মৃত্যুর গন্ধ লেগে থাকে,
অথচ, বেশ্যারা ধর্মের কথা বলে গাছ তলায়।
আমাদের অনেক না পাওয়ার, না হওয়ার স্বপ্ন থাকে
আমরা পুরুষ হয়ে ভূলে থাকার যন্ত্রনায় রঙ চা খাই
এরকম আরেকটা শুক্রবার আসবে
তাই বৃহস্পতিবার রাতে আমরা ষড়যন্ত্র করি।
আমি একা বাঁচার প্রত্যয় নিয়ে প্রতিদিন ঘুম থেকে জাগি
কারো কাছে কিছু চাওয়ার নেই, অভিযোগ নেই,
এই বেশ স্বাদহীন স্বাধীনতা উপভোগ করছি।
ভালোবাসা পানির মত, শুধু গড়িয়ে যায়।
অবহেলায়, আর অহংকারে যে সময় চলে গেছে
সে ফিরে আসবে না, যেমন এই তারুণ্য আর সবুজের গান।
এখানেই যতিচিহ্ন, বিরামের কোন অবকাশ নেই,
সময় সবচেয়ে বড় ঘাতক, প্রেমেরও পরিত্রান নেই।
আমি তৃণভোজী নই বলে, আজন্ম আফসোস রয়ে যাবে
রক্ত মাংসের স্বাদ বড় তীব্র, অবহেলা করা পাপ।
নিজেকে বঞ্চিত করার মত মহাপুরুষ আমি নই
তাই, হিসেবের খাতায়, তুমি, আমি অথবা অন্য কেউ মরে যায়।
যোদ্ধারা যুদ্ধ চায় না,
যারা চায় তারা যুদ্ধে যায় না।
শান্তি আর গণতন্ত্রের নামে যে যুদ্ধে তোমরা নামো
তা সৃষ্টির বিরুদ্ধে, ঈশ্বরের বিরুদ্ধে।