যে জীবন ছেড়ে চলে গেছি
এই যে একা থাকার মধ্যেও একটা ছন্দ আছে-
সেটা কি আগে বুঝেছিলাম?
এই যে সারাদিন মন খারাপ থাকলেও ঘড়ির কাঁটা ছুটে যায়
কেউ কি বলেছিলো?
এই যে একা থাকার মধ্যেও একটা ছন্দ আছে-
সেটা কি আগে বুঝেছিলাম?
এই যে সারাদিন মন খারাপ থাকলেও ঘড়ির কাঁটা ছুটে যায়
কেউ কি বলেছিলো?
শেষবার যার চোখে কুয়াশা দেখেছিলাম, চোখের তারায় সত্য প্রেম
তাকে আরেকবার দেখতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে।
একটাই প্রশ্ন করতে চাই -
শীত কোথায় গেলো, আমার হিমহিম মায়া চাদর কই?
তুমি আমি সব নামহীন গোত্রের মত
হারিয়ে গেছি ক্ষমাহীন মুহুর্তের যত অনাচারে।
আমি নিজেকে ঠকিয়েছি যেন তুমি জিতে যাও
কিন্তু বরমাল্যে তুমি বেছে নিয়েছো ভিন্নজন।
আমি নাম কেটে দেই, আবার লিখব বলে নাম কেটে দেই।
কিছুই হোলো না
আমি অভাজনে প্রেম করে নিঃস্ব হলাম,
মানুষকে ভালোবেসে আমি আজন্ম পাপী হলাম।
জীবনের হাঁটে সওদা করতে গিয়ে
কিছু দোকানি মাপে ভুল দেয়, কিছু ক্রেতা ঠকে
আসলে মানুষ অন্যকে ঠকায় না, নিজেই শেষে ঠকে যায়।
ধরো এক কাপ চা হাতে নিয়ে আমি বারান্দায় বসেছি
চড়ুই পাখির খড়কুটো নিয়ে মারামারিটা সকালে বেশ উপভোগ্য
কিংবা, ধরো এমনিতেই চোখ বন্ধ করে আমার প্রিয় চেয়ারটায় একটু স্বপ্ন দেখি
কি ভাবি?
সব কিছু নষ্টদের দখলেই ছিল এবং থাকবে
শুধু সময় পরিবর্তন করে কি বোঝালে-
আমার থেকে তুমি ভালো এবং তার থেকে তারা?
তুমি শুধু অন্ধকারটাই দেখলে, আলোটা নেভালে ,
নতুন আলো কোথায়?
সব কিছু অন্ধকারেই ছিল এবং থাকবে
তুমি শুধু দীর্ঘশ্বাস বাড়ালে।
জলের নিচে নীলের খেলা-
বেঁচে আছি শুধু প্রতিচ্ছবি হয়ে
যেমনটা সূর্যের আলোয় গাছের ছায়া।
আমি গাছ হতে চেয়েছিলাম
এখন মরে যেতে ইচ্ছে করে
পৃথিবী জল শূন্য
বেঁচে থাকার তৃষ্ণাটা আর নেই।
শুধু আলো ছুঁয়ে ফিরে আসি অন্ধকারে।
আমি একপা বাড়ালেই হারিয়ে যাই জনসমুদ্রে
হাত ধরে রাখার কেউ নেই-
আমি চোখ বুজলেই শুনি বিরহের গান
রাত ভোর ঘুম নেই, স্বপ্ন দেখার কিছু নেই।
যেতে যেতে ফিরে দেখি
পাশে হাঁটার কেউ নেই
ভালো নেই, মন ভালো নেই
পথটা আর চেনা নেই।