ধরো এক কাপ চা হাতে নিয়ে আমি বারান্দায় বসেছি
চড়ুই পাখির খড়কুটো নিয়ে মারামারিটা সকালে বেশ উপভোগ্য
কিংবা, ধরো এমনিতেই চোখ বন্ধ করে আমার প্রিয় চেয়ারটায় একটু স্বপ্ন দেখি
কি ভাবি?
ভাবি- মনের কথা যাকে বলব তার দম ফেলবার ফুরসত নেই
এক দন্ড পাশে এসে বসবার কেউ নেই,
নেই গানের সুরের সাথে শীষ দেবার বন্ধুটাও
অবহেলার জীবন এভাবেও বারান্দায় কেটে যায়।
ক্ষনিক অবসর উপভোগ করতে গিয়ে বুঝে যাই, পুরো জীবনটাই আসলে একটা ছুটির দরখাস্ত
বাজার থেকে ছুটি চাই, সেখানে মাছেরা মৃত পড়ে থাকুক, আমার কি?
হাসপাতাল থেকে, সেখানে স্বাস্থ্য উদ্ধার হোক মন্ত্রী আর আমলার
স্কুল থেকে, সেখানে শৈশব আর কৈশোর চুরি হয়ে যাক।
আমি বারান্দায় বসে হকারের ডাক শুনব।
অনেক নীচে লিলিপুটদের ব্যস্ততা, ভাঙ্গাচোরা বিক্রি কাগজ – এই কাগজ
আমার কোথাও যাবার তাড়া নেই…
আমি খাঁচায় বন্দি সাত নম্বর প্রজাতি।
সদ্য হাঁটা শেখা শিশুটা হাসিমুখে এক পা ফেলেই খিলখিল করে হেসে উঠুক
নতুন অস্ত্রের মত ঝলকানি দিক বাবার মুখপানে চেয়ে
আমি তাই দেখব, আমার কোথাও যাবার তাড়া নেই
আমার গন্তব্য আলাদা, রাস্তা অজানা আর অদ্ভুত
শুধু এই বারান্দার রোদটুকু আমার খাঁচার ভেতরে ফটোসিনথেসিস নামক জটিল প্রক্রিয়ায়-
নিয়ম করে সকালে ওম দিয়ে যাক।
আমার কোথাও যাবার নেই।
0 Comments