সিঙ্গাপুর ট্যুর নিয়ে অনেকদিন ধরেই লিখব লিখব ভাবছিলাম, সময় করা হয়ে ওঠেনি। এর মাঝখানে আমি আবারও একবার কলকাতা ঘুরে এসেছি।
তাই সিঙ্গাপুর এর খুটিনাটি স্মৃতি ভুলে যাবার আগেই কিছু লিখে রাখি। আগেই বলে রাখি আমি ট্রাভেল ব্লগার নই, কাজেই আমার বর্ননায় সৌন্দর্যের থেকে বেশি খুঁজে পাবেন কিভাবে কোথায় গেলাম সেটা।
আর তার সাথে আমি ছবি দিয়ে দিচ্ছি বোঝার সুবিধার জন্য। কথায় আছে না, একটা ছবি হাজারো শব্দের থেকে বেশি কথা বলতে পারে।
সিঙ্গাপুরের মাটিতে নামলেই প্রথম যে জিনিসটি আপনাকে মুগ্ধ করবে তা হলো এদের এয়ারপোর্ট। চাঙ্গি এয়ারপোর্ট (Changi) পৃথিবীর বড় এয়ারপোর্ট গুলোর একটি। আমি প্রথমবার একটা এয়ারপোর্ট দেখলাম এত বড়। আমার কাছে সব থেকে ভালো লেগেছে এদের প্রতিটি জিনিস গোছানো এবং সাহায্যের কোন অভাব নেই। ট্যুরিষ্ট বান্ধব আরকি।
একটা এয়ারপোর্টের ভেতর এত এত শপিং মল, রেস্টুরেন্ট আর বার আছে যা দেখলেই মনে হয় এটা কোন এন্টারটেইনমেন্ট পার্ক। চাঙ্গির ভেতরে একে্কটা টার্মিনাল এত বড় যে পুরোটা ঘুরে দেখতে আপনার ঘন্টার পর ঘন্টা লেগে যাবে। এক টার্মিনাল থেকে আরেক টার্মিনালে যাবার জন্য এদের স্কাইট্রেইন আছে; সেটাও ফ্রি।
প্রতিটি দিক নির্দেশনা এমন সুন্দরভাবে দেয়া যে প্রথমবারের যাত্রীরাও হারিয়ে যাবে না। বেশিরভাগ নামীদামী ব্রান্ডের দোকান এখানেই পাবেন। দেখবেন হাজারো রকমের বিখ্যাত পারফিউম, চকলেট আর মদের ছড়াছড়ি। শেষ মুহুর্তে যেন যাত্রী কিছু কিনতে চাইলে এখান থেকেই সেরে নিতে পারে দরকারী কেনাকাটা। আমি শুধু মাত্র টাইম পাসের জন্যই প্রায় ঘন্টাখানেক ঘুরেছি।
পুরো সিঙ্গাপুর টুরের ভিডিও আমি একসাথে পোস্টের শেষের দিকে দিয়ে দিচ্ছি। দেখে নিতে পারেন কোথায় যাবেন, কি দেখবেন।
সিঙ্গাপুর যাবার আগে অবশ্যই আপনার হোটেল বুকিং দিয়ে যাবেন। ইমিগ্রেশনে জিজ্ঞেস করলে না হলে ঝমেলায় পড়ে যাবেন। আমি agoda.com থেকে একটা হোস্টেল বুক দিয়েছিলাম। হোস্টেল বুক দিতে আমার ৪৬ ডলারের মত লেগেছিল। ৪৬ আমেরিকান ডলার পড়েছিল ২ জনের ২ দিন বুকিং দেয়ার খরচ। মাথাপিছু প্রায় ১২ ডলার/দিন হিসেবে।
আমার সাথে আমার বন্ধুর যাবার কথা থাকলেও সে যায়নি, ফলে একজনের এই বুকিং মানি আমার নষ্ট হয়।
আপনার মোবাইল থেকে আগোডার অ্যাপের মাধ্যমেও বুকিং কমপ্লিট করতে পারবেন এবং সেই ইনভয়েসই সাথে নিয়ে যেতে পারবেন।
যেহেতু আমি একা ট্রাভেল করছিলাম আর জানতাম সিঙ্গাপুর অনেক ব্যায়বহুল শহর তাই থাকার জন্য আমি সবথেকে কমদামী হোটেল বা হোস্টেল খুজঁছিলাম। অনলাইনে একটু সার্চ করলেই আপনি থাকার বাজেট অনেকটাই কমিয়ে আনতে পারবেন।
এয়ারপোর্টে থাকাকালীন আপনার উচিত হবে একটা ট্রাভেল কার্ড কিনে নেয়া। এদের ট্রাভেল কার্ডগুলো বেশ কাজের। এটা দিয়ে রেল (MRT) এবং বাস দুই জায়গাতেই বিল দেয়া যায়। আবার চাইলে শপিং এর সময় ও সেইম কার্ডের ব্যালেন্স ব্যবহার করতে পারেন।
তবে দেখে নিতে হয় এসকল জায়গায় নেটস পে এভেইলেবল নাকি। এদের অনেক মুদি দোকানেও নেটস পে এভেইলেবল থাকে।
এয়ারপোর্ট থেকে আমি ১২ ডলার দিয়ে কার্ডটি কিনেছিলাম। কার্ডে ৭ ডলার লোড থাকে, আমি আমার ইন্টারন্যশনাল মাস্টার কার্ড দিয়ে আরো ৩০ ডলার লোড করেছিলাম। আমার ধারনা ছিল ৫ দিনের ট্রাভেলে আমার অনেক টাকা যাবে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমার প্রায় ২৬ ডলার বেঁচে যায় যা দিয়ে পরে আমি মুস্তাফা মার্ট থেকে চকলেট কিনি।
সিঙ্গাপুরের এই এক মজা। এদের মেট্রো এবং বাসে যাতায়াত করা খুবই সস্তা।
এয়ারপোর্ট থেকে আমি মেট্রো/সাবওয়ে ধরে (এক ডলারের মত খরচ হয়) লিটল ইন্ডিয়ার দিকে যাই। আমার হোস্টেল ছিল ওখানেই।
লিটল ইন্ডিয়ার সবথেকে কাছের সাবওয়ে স্টেশন হল ফেরার পার্ক, সেখানে নেমে গুগল ম্যাপ দেখে দেখে আমি হাঁটা দেই।
আমি যে হোস্টেলে ছিলাম তার নাম 60’s Hostel. মূলত এদের একই রুমে ডর্মের মত অনেক গুলো বেড থাকে, আপনি যেকোন একটা বেড ভাড়া নেবেন। শেয়ারড হবার কারনে প্রাইস অনেক কম থাকে।
হোস্টেল হলেও এদের সুবিধা কিন্তু কোন অংশেই কম নয়। গোসলের গরম পানি, ফ্রি কফি, ব্রেকফাস্ট, খাওয়ার জন্য ঠান্ডা পানি সবই আছে। এখানে এসে আমার ভালো খাতির হয়ে যায় ফ্রন্টডেস্কে বসা ছেলেটার সাথে। কেভিন ওর নাম। কেভিন আমাকে একদিন রাতের আড্ডায় জিজ্ঞেস করেছিল এত জায়গা থাকতে আমি ঘোরার জন্য এক্সপেন্সিভ সিঙ্গাপুরে কেন আসলাম।
আমি একটু হেসে বলেছিলাম উপায় ছিলনা তাই, অগ্রিম টিকেট কাটা ছিল।
প্রথমদিকে আমার হোটেল পরিবর্তন করার একটা ইছা থাকলেও, এখাকার পরিবেশ আর ফ্রেন্ডলি ব্যবহারে আমি ৫ দিন 60’s Hostel এই রয়ে যাই।
কোথায় ঘুরতে গিয়েছিলাম?
এবার আসা যাক ঘোরাঘুরির কথায়। সিঙ্গাপুরে বাস এবং ট্রেনের ভাড়া খুবই কম। কিন্তু ট্যাক্সি ভাড়া অনেক। পারতপক্ষে তাই ট্যাক্সি এড়িয়ে চলবেন। ঘোরাঘুরির জায়গার কোন অভাব নেই এখানে।
সাথে ফ্যামিলি নিয়ে গেলে সব থেকে মজা পাবেন ইউনিভার্সাল ষ্টুডিও গিয়ে। ইউনিভার্সাল ষ্টুডিও সারাদিন কাটিয়ে দেয়ার মত এক আনন্দময় জায়গা। গান, নাচ, অসাধারন সব খাবার, পরিবেশ এবং বাচ্চাদের জন্য টয় রাইড, একি বাউন্ডারির ভিতরে এত কিছু আমাদের মত বাঙ্গালীরা খুব কমই দেখে থাকি। যারা দেশের বাইরে থাকেন তাদের কথা আলাদা।
মূলত আপনার ঘোরাঘুরির প্লান ঠিক করতে হবে আপনি কয় দিনের জন্য যাচ্ছেন তার উপর। যেদিন যাবেন এবং যেদিন আসবেন সেদিন কোন প্লান না রেখে বাকি কয়েকদিন ঘুরে বেড়াবেন।
প্রত্যেকটি হোটেলেই আপনি গাইডবুক পাবেন এবং এয়ারপোর্ট লাউঞ্জেও দেখতে পাবেন সিঙ্গাপুরে ট্যুর গাইড এর তথ্য দেয়া আছে। ফ্রি লিফলেট, সাথে করে নিয়ে নেবেন অনেক কাজে লাগবে।
আমার ঘোরাঘুরির তালিকায় ছিলঃ –
০৪. শহরের মাঝে এলোমেলো ঘোরাঘুরি
সান্তোসা পার্ক (Resorts World Sentosa) ও পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাবার জন্য অসাধারন একটি জায়গা, কিন্তু সময় না থাকার কারনে আমি যেতে পারিনি। আসলে আমি ৫ দিন সময় নিয়ে এসেছিলাম, যা ঘোরা এবং রিল্যাক্স করা জন্য অনেক কম। আপনারা গেলে অন্তত ৭ দিন সময় নিয়ে যাবেন পুরো সিঙ্গাপুর ঠিক মত দেখার জন্য।
সিঙ্গাপুর এমন একটা জায়গা যেখানে আপনি কখনো বোরিং ফিল করবেন না। যদি কিছু করার নাই থাকে তবে এদের শপিংমল গুলোতে একবার ঢু মেরে দেখুন। আপনার সময় ফুরফুর করে কেটে যাবে। পুরো শহরটাই একটা দেখার মত জিনিস।
প্রথম দিন আমি গিয়েছিলা গার্ডেনস বাই দা বে তে। প্রথমে সাবওয়ে করে মেরিনা বে এরিয়ায় যেতে হয়। এই জাউগাতা অদ্ভুত রকমের সুন্দর। অনেগুলো বিশাল কলামের মাঝখানে ঝুলন্ত একটা বাগানের মত বানিয়েছে এরা। এই টাওয়ার গুলোতে উঠতে হলে আবার টিকিট কাটতে হবে। টিকিট কাটা বাদেও এই বাগানের বিশাল একটা অংশ আপনি ফ্রিতে ঘুরে দেখতে পারবেন।
আমার বিশ্বাস এত সুন্দর করে সাজানো বাগান আপনি খুব কমই দেখেছেন।
আরো কিছু ছবি দিলাম এই বাগানের। সারাদিন কাটিয়ে দেবার মত একটা জায়গা।
এই বাগানের পাশেই আপনি মেরিনা বে স্যান্ডস হোটেল দেখতে পাবেন। এর নিচে বেশ কিছু অসাধারন জায়গা রয়েছে ঘুড়ে বেড়ানোর জন্য। আর শপিং মলের কথা নাই বা বললাম।
এখান থেকে বের হয়ে আপনি হাঁটা পথেই চলে যাবেন মেরিনা বে এরিয়াতে। যদি সন্ধ্যা বা রাতের দিকে যেতে পারেন তবে আলোর ঝলকানি দেখতে পাবেন। দিনের বেলাতে লোক সমাগম একটু কম থাকে।
এখানে একটা ফর্মূলা ওয়ান রেসিং ট্রেক আছে। কার লাভারদের জন্য অসাধারন জায়গা। আর কাছাকাছি সায়েন্স মিউজিয়াম আছে। অবশ্যই দেখার মত একটা জায়গা।
বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে ঘোরাঘুরির জন্য বেশ ভালো একটা প্লেস।
নিচের এই সিংহের দেখা পাবেন একই এরিয়াতে। আমার খুব একটা আহামরি কিছু লাগেনি এটা দেখতে। কিন্তু প্রচুর জনসমাগম থাকে এখানে। চাইলে কিছুক্ষন রিভার সাফারিও করে নিতে পারেন এখানে।
এই ব্রিজ ধরে হেটে এখানে আসতে হয়। জায়গাটা খুব বিখ্যাত। বলুনতো কেন?
সিঙ্গাপুর চিড়িয়াখানাও সারাদিন ঘুরে বেড়ানোর মত একটা জায়গা। এখানে এলেই মনে হয় আমাদের দেশে বন্যপ্রানীগুলো কতোটা অযন্তে আর অবহেলায় থাকে।
এরা পুরো চিড়িয়াখানাটাকেই বানিয়ে ফেলেছে একটা এমিউজমেন্ট পার্ক। আপনার মনেই হবে না আপনি খাঁচায় বদ্ধ কিছু জানোয়ার দেখতে এসেছেন।
সিঙ্গাপুরে আমার কাছে সব থেকে ভালো লেগেছে ইউনিভার্সাল স্টুডিও। সিঙ্গাপুর গেলে এখান একবার হলেও যাওয়া চাই। সারাদিন এত আনন্দ বোধহয় আর কোন কিছুতে পাবেন না।
যাবার আগে আপনার হোটেল থেকে টিকিট কেটে যাবেন, তাতে ফ্রি ভাউচার এবং রাইড দেয়া থাকে।
কি খাই দাই?
আমি যে জায়গটায় ছিলাম তার নাম লিটল ইন্ডিয়া। আশেপাশের বেশিরভাগ মানুষই হয় বাঙ্গালী না হয় ইন্ডিয়ান। আর মুস্তফা সেন্টারের সামনে থেকে আপনি চাইলে বিকাশ ও করতে পারবেন।
বেশিরভাগ সময় আমি খাওয়া দাওয়া করতাম এই এলাকাতেই। কারন এখানেই ভাত, চিকেন এবং কারি পাওয়া যেত। সকালে নাস্তা করেছি নুডলস সুপ দিয়ে পাশের এক চায়নীজ দোকান থেকে মাত্র ৩ ডলারে।
আমি যেই হোস্টেল এ ছিলাম সেখান থেকে ফ্রি ব্রেকফাস্ট দিত এরকমঃ-
আহামরি কিছু নয় কিন্তু বাজেটের মধ্যে লাঞ্ছ বা ডিনার করার জন্য আপনাকে বেছে নিতে হবে রোড সাইডের এই ক্যাফে গুলোর। লোকাল ফুড বলতে খুব একটা নেই সবই চাইনীজ, ইন্ডিয়ান বা বাঙ্গালী খাবার দাবার এই এলাকাতে।
রাইস খাবার জন্য পাকিস্তানি হোটেল ছিল বেশ। এদের রান্না খুবই চমৎকার এবং পরিমানে এত বেশি দেয় যে একা খেয়ে শেষ করাটাই কষ্ট। মাত্র ৫ ডলারের মত লাগে।
বাংলাদেশে ফেরত আসার দিন এয়ারপোর্টে আমি আমেরিকান একটা রেষ্টুরেন্টে একটা মাছের ডিশ খেয়েছিলাম যা প্রায় ৩৩ ডলার নিয়েছিল। অসাধারন স্বাদ এবং আগে কখনো খাইনি। একবেলার খাবারের জন্য আমি কখনো এত খরচও করিনি।
একা একা ট্রাভেল করা মজা হল আপনার অনেক নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হবে। তেমিন আমি এখানে এক ফরাসি ভদ্রলোক, একজন কেনিয়ান, ইন্ডিয়ান এবং সিঙ্গাপুরির সাথে রাতে আড্ডা দিয়ে কাটাতাম।
অনেক খুঁটিনাটি এখানে মিস করে গেছি কারন সব কিছু লিখে বোঝানো যাবে না। নিচের ভিডিও তে আমি পুরো ট্রাভেল সময় একসাথে দেখিয়েছি। মোবাইল দিয়ে একহাতে করাতে কিছুটা খারাপ হয়েছে।
কিভাবে ভিসা পাবেন ?
বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর ঘুরতে যাবার সব থেকে বড় বিড়ম্বনা বোধহয় ভিসা জটিলতা। আমাদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া কি? কি কি কাগজ জমা দিতে হবে তা অনেকটা ধোঁয়াটে। আমরা সরাসরি ভিসা এপ্লিকেশন জমাও দিতে পারি না। আমাদের জমা দিতে হয় এজেন্সির মাধ্যমে।
আপনি বাংলাদেশের যেখানেই ভিসার জন্য জমা দিয়ে থাকেন, এম্বেসীর ঠিক করে দেয়া এজেন্সী মারফতই শেষ পর্যন্ত ভিসা জমা পড়বে।
আসুন দেখে নেয়া যাক কি কি কাগজ লাগবে আপনার ভিসার জন্য।
০১. আপনার পাসপোর্ট যার মেয়াদ ছয় মাসের বেশী আছে। এর থেকে কম থাকলে ভিসা পাবেন না।
০২. সদ্য তোলা ছবি ২ কপি ( ২৫ মি.মি. X ৩৫ মি.মি.)
০৩. লেটার অফ ইন্ট্রোডাকশন ( letter of introduction) – বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এজেন্টের মাধ্যমে জমা দিয়ে দিলে তারাই এটা ম্যানেজ করে দেয়।
০৪. চাকুরীরত থাকলে এন,ও,সি লেটার/ ব্যাবসায়ীদের জন্য হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স। নতুন বা পুরাতন কোন বিষয় না।
০৫. অফিসিয়াল প্যাড ব্লাঙ্ক (এটা বোধহয় এপ্লিকেশন লেখার জন্য) – আপনার ভিসা এজেন্ট চাইবে আপনার কাছে।
০৬. ব্যাঙ্ক স্টেইটমেন্ট, যত বেশি দেয়া যায় ভালো, বাট লাস্ট ব্যালেন্স ৯০,০০০ এর নিচে দেবেন না। এটা আমার ব্যাক্তিগত আইডিয়া।
এরপরও অনেক সময় এম্বেসী থেকে আপনাকে ডাকতে পারে ইন্টারভিউ এর জন্য। নির্দিধায় চলে যান, সাথে প্রয়োজনীয় কাগজ চাইলে তাও নিয়ে যান। যদিও সাধারনত কোন কাগজ দেখতে চাইবে না।
Excellent Review with pictures.