সকল উৎসব শেষ হলে আমি পড়ে থাকা শুন্য ময়দান-
আমাকে তুমি ত্যাগের ভয় দেখাবে?
সকল প্রার্থনা শেষেও আমি রয়ে যাই নীল হতাশায়
আমায় তুমি অন্ধকারের গল্প শোনাবে?
শুধু দেয়ালের ওপাশে চলে যেতে চেয়ে
নিজেই কখন একটা দেয়াল হয়ে গেছ জানো না
আচমকা রাতে ঘুম ভাঙ্গলে তাই,
চার দেয়ালে আর ভয় পাই না।
এ ভীষন অপরাধ আমার পূর্বজন্মের…।
আস্ত একটা কবিতা লিখেও মনের খেদ কাটে না
এ দূর্যোগ আমার অহেতুক প্রেমে পড়ার।
সকাল বেলা তোমার ঠোট ছুঁয়ে যাওয়া আলতো হাসি-
বোতলে পুরব বলে আমার কেটে গেছে নিদ্রাহীন শতাব্দী
অথচ, আমার ফেরা হয়নি, সমুদ্রপাড় থেকে চেনা আঙিনায়
আমার দেখা হয়নি অভিমানের নোলক।
আমি পৃথিবী ঘুরে বিস্ময় আনতে গিয়ে
হারিয়ে ফেলি ঘরের কোনায় প্রেম।
আমার ফিরতে বড় দেরি হয়ে যায়,
সব পাখি ঘরে ফেরে, আমি শুধু নীড় হারাই
আমার দেখা হয়না মমতায় বিছানো শিউলি ফুল-
আমি বুনো অর্কিডের আগুন বর্ণে মাতাল হই
হারিয়ে ফেলি শিমুলের ডাল আর কাঁঠাল চাপার সুবাস।
সবাই ঘরে ফেরে, আমি শুধু বিস্মৃত হই
আমার ভাঙনের সুরে আমি অ্যাটলান্টিক সমুদ্র তুলে আনতে গিয়ে-
হারিয়ে ফেলি শ্যাওলা দিঘির ঘাট।
আমার ফেরা হয় না-
আমি হারিয়ে যাই গ্রীক পুরানে, দেবতা আইসিসে
শুধু হারিয়ে ফেলি আমার উর্বর মাটির সোঁদা গন্ধ।
আবার যদি ফিরে আসি, যদি ফেরা হয় চেনা বটের ছায়ায়
তবে মানুষ করে দিও,
দেয়াল নয়, ভেঙ্গে পড়া বাতাস নয় …
এ মাটির একটা ঘাসফুল করে রেখে দিও পায়ের তলায়।
0 Comments