তোমাকে দেখলেই আমার ব্যস্ততার কথা মনে পড়বে
আমি টেবিলে বসে কাগজে খুব দাগাদাগি করে যাবো
নতুন কেনা বারো টাকার বলপয়েন্ট কিছুতেই মসৃন হচ্ছে না
সাদা কাগজে অহেতুক কালি লেপ্টে যাবে, কিন্তু চোখে চোখ রাখবো না।
গলির মাথায় অফিস পাড়ার চায়ের দোকানে দেখা হবে
আধ-খাওয়া কাপ রেখে ব্যস্ত হয়ে পকেটে হাত ঢোকবো
খুচরো ফেরত না নিয়েই পালিয়ে যাবো।
বাসে কদাচিৎ দেখা হতে পারে
ভুলেও তোমার ভাড়া আমি দেব না
তোমাকে চিনিই না আমি।
একই গন্তব্যে আরো কতশত লোক যায়, সবাই কি সবার পরিচিত হয়?
মোবাইলের স্ক্রীনে তোমার নাম্বার ভেসে উঠলেই –
আমি বিরক্তিতে চোখ কুঁচকে ফেলব, একি অহেতুক ঝামেলা,
আমি ভুলে যাব রাত জেগে কত শত গোলাপ কলির ঝরে যাওয়া
রিংটোনের শব্দকে যখন সঙ্গীত মনে হোত তখনকার গল্প।
রেস্তোরায় কফির বিল দিতে গিয়ে আমার আর অস্বস্তি হয় না
একজনের জন্য খুব বেশি খরচ হয়নি
তবুও পকেটে খুচরো নেই বলে আমি বখশিস দেব না বেয়ারাকে।
বেহিসেবে শুধু সময় খরচ হয়ে গেছে।
আরো বিশ বছর পর যখন কানের গোড়ায় চুলে সাদা রঙ ধরবে
চোখে একটা প্লাস পাওয়ারের চশমা থাকবে
সামনাসামনি দেখা হলে আমি ভুলে যাবার ভান করব
অপরিচিতের মত হাত বাড়াবো সৌজন্যতার খাতিরে।
যে জীবনটা একসাথে চেনার কথা ছিল, যে পথ ছিল সমান্তরালের
আমাদের সেখানে দেখা হয়নি, তোমাকে চিনি না
তোমাকে ভুলে আছি বিশ বছর, তোমাকে মনে রাখিনি,
তোমাকে চিনি না আমি, এজন্মে দেখা হয়নি।
0 Comments