সৃষ্টিকর্তা একটা আকাশ দিয়েছেন পাখিদের,
সীমানা দেননি-
তারা ডানায় ভর করে স্বাধীন ভূমিতে, জলে আর নীলে।
অথচ মানুষ দ্যাখো, সৃষ্টিকর্তাকেই ভাগ করে নিয়েছে !
জলে আর স্থলে, তার নামেই আকাশপথে
তান্ডব চালায় সীমানা প্রাচীর তুলে।
তারা ইমারত বানায়, উপসনা গৃহ সাজায়
যে গৃহে স্থান হয়নি মানবতার।
তারা নিজের নিজের ঈশ্বরের কথা বলে, সৃষ্টির কথা বলে,
আর লোভ দেখায় আরেকটা জীবনের।
অথচ, যে জীবন তারার দান
যে সৃষ্টি অযুত-নিযুত সময়ের
ভীষন অবহেলায় মানুষ তার ধ্বংসে মত্ত।
এরা বলে বেড়ায় আমরাই সেরা; আমাদেরই অধিকার উপাসনা গৃহের
অথচ কি ভীষণ অবহেলায় তারা
প্রজাতির পর প্রজাতি ধ্বংস করে যায়।
“কর্তার ইচ্ছায় কর্ম” বলে- ধ্বংসের দোষ চাপায় সৃষ্টিকর্তার ঘাড়ে।
এরকমটা সৃষ্টিকর্তা চাননি-
গোত্রের নামে, ধর্মের নামে, ভাষা আর স্বাধীনতার নামে
নিজেদের পরাধীন করে, যে প্রভুর উপাসনা তোমরা কর
যে কাল্পনিক সীমানা প্রাচীরের আড়ালে তোমরা যুদ্ধে মত্ত-
এরকমটা ঈশ্বর চাননি।
নিজেদের ঈশ্বরের অনুসারী বলার আগে একবার ভেবে নিও
তোমাদের ভাগাভাগিতে ঈশ্বর কেন নিশ্চুপ থাকেন?
তোমাদের কাল্পনিক যুদ্ধে তিনি নিজ সৃষ্টির কোন দলে থাকবেন?
যোদ্ধারা যুদ্ধ চায় না,
যারা চায় তারা যুদ্ধে যায় না।
শান্তি আর গণতন্ত্রের নামে যে যুদ্ধে তোমরা নামো
তা সৃষ্টির বিরুদ্ধে, ঈশ্বরের বিরুদ্ধে।
0 Comments