আমার দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে একটু রোদ পোহাতে চেয়েছিলাম
আমি সিংহাসন থেকে নেমে মাটির পথ ধরে কিছুটা হেঁটে গেলাম
এক হাজার বছর পরে একটা সভ্যতার দেখা পেলাম
ওরা আগুনে ঝলসে মানুষের মাংস খায়।
আমার ভয় হল ওরা আমাকেও মানুষ ভেবে খাদ্য বানাবে,
অথবা দেবতা জ্ঞানে পূজো দেবে।
আমি সমুদ্রের দিকে চলে গেলাম
কি বিশাল তার সীমা আর রাগী গর্জন, অথচ কত মন্থর তার গতি!
এর থেকে নদী অনেক দ্রুত চলে।
আমি পাহাড়ের পাদদেশে পাঁচশ বছর কাটিয়ে দিলাম
এত নিরব আর নিরহংকার কাউকে দেখিনি
ঘুমিয়ে থাকা দৈত্যের মত, কত পাখি আর জানোয়ার সেখানে নিশ্চিন্তে রাত কাটায়।
আমার খুব শখ ছিল মানুষ দেখার –
কিন্তু, হাজার মাইল হেঁটে, অযুত বছর পরেও আমি মানুষের দেখা পাইনি।
ওরা লোকালয়ে নেই, শিল্পে নেই, সাহিত্যে নেই, ইতিহাসে শুধুই কিছু কাল্পনিক চরিত্র।
আমি খুব মন খারাপ করে আবার সিংহাসনে ফিরে গেলাম।
এরপর একদল দো’পেয়ে জানোয়ার মিছিল করে আসল আমার রাজ্যে
ওরা ইশ্বরের নামে পশুবলি দিতে চায়
আমি নিশ্চুপ থাকলাম, মানুষের রাজ্যের হিসেব খুব একটা বুঝিনা।
এরাই যদি মানুষ হয় কয়েক হাজার বছর ধরে আমি কাদের খুঁজেছি?
এরা ফিরে গিয়ে নিজেদের বলি দিতে লাগলে একের পর এক
আমি এদের মাঝখানে মানুষ খুঁজছিলাম।
0 Comments