একদল মানুষ হব বলে খুব হল্লা করছে
কেউ একজন একটা জ্ঞানের কথা বললেই তাকে মারতে ছুটে যাচ্ছে!
তাদের দৃঢ় বিশ্বাস- আরেকজনকে মানুষ বানাতে পারলেই অমরত্ব
মানুষ শুধু নিজে হলেই হবে না, তাতে ঈশ্বরের কি লাভ?
কখনো ভাবেনি ঈশ্বর তার চিন্তার মত ক্ষুদ্র কেন হতে চাইবেন?
তার কি হাঁত-পা আছে?
তিনি কেন মানুষ বলি চাইবেন? নিদেন পক্ষে পশু!
রক্ত মানুষের খাবার ঈশ্বরের নয়।
এরা গেরুয়া আর শুভ্র পোষাক পরে লোকালয়ে ঘোরে
সংসারের মোহ-মায়া, বিত্ত – সব ত্যাগ করার কথা বলে
এরা মনুষত্বকে দেবতার পর্যায়ে নিয়ে যেতে চায়, আর তাদের কল্পনার দেবতারা অমর
যদিও কেউ কেউ বিস্মৃত হয়ে যান সময়ের ফাঁদে, যেমন জিউস অথবা এনলিল
প্রভুর নামে যখন আর কেউ জপ করে না, মালা জড়ায় না বিগ্রহে, ধূপ-আতর চড়ে না
সেই সকল দেবতারা স্বর্গবাসী হয়ে গেছেন।
যারা পথে-ঘাটে ধর্মের কথা বলে, লোভ দেখায় ইন্দ্রজিতের আর ঈষৎ বৃহৎ ইমারতের
তারা অনবরত উলঙ্গ হয়।
তাদের অদ্ভুত শরীর তারা সফেদ কাপড়ে ঢাকার আপ্রান চেষ্টায় থাকে
তবু তাদের বারবার ন্যাংটো হতে হয়।
অনুসারীর দল যত লম্বা হয় মূর্খতার ছায়া বাড়ে আনুপাতিক হারে
সময় তাদের উপর প্রতিশোধ নিতে থাকে বারবার
ন্যাংটার আবার কিসের লজ্জা, ওরা শুধু মানুষ হবার আশায় ঘৃণা ছড়ায়।






0 Comments