খুব মরে যেতে ইচ্ছে করে
রুপালী ইলিশের মত
সূর্যের আলোয় যার চোখে অন্ধকার নামে
শুধু আলোর মায়ায় ঝুলে আছি।
আমি জীবনকে যেভাবে নিয়েছি
মৃত্যুটাও খুব সাধারণ হোক
শুধু ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করে না-
কাঠগোলাপের গন্ধ, পায়ের তলায় ঘাসফুল
হাস্নাহেনার বুনো ঢেউ, আর আমার শৈশব।
অনেকদিন আগেই বিদায় জানিয়েছি
আমার প্রিয় নীল পাহাড়
সাদা খরগোশ আর বুনো মহিষের দল।
ফেলে এসেছি কৃষ্ণচুড়ায় ঢাকা পথ
আর দুপুরের স্কুল ঘন্টা।
খুব মরে যেতে ইচ্ছে করে এখন
ভাত-ঘুম শেষে
সবার স্পর্শের বাইরে গিয়ে
শুধু আলো ছুয়ে ফিরে আসি আবার।
খুব ইচ্ছে করে,
সাধারণ হয়ে ভীড়ের মাঝে হারিয়ে যাই
আর ফিরতে চাই না-
এই চাপিয়ে দেয়া যাপিত জীবন।
সত্যি বলছি-
আমি এমনটা চাইনি,
যে জীবন ইট-পাথরে মানে খুঁজে বেড়ায়।
যেখানে শেয়ালের হুক্কাহুয়া নাই
ভোরের নিস্তব্ধতা ভাঙে হাইড্রোলিকের শব্দে,
এ জীবনটা চাইনি।
খুব মরে যেতে ইচ্ছে করে এখন
একটা সাদা কাগজের মত।
যদি আবার ফিরে আসতাম
নতুন কবিতা লিখতাম লাল-নীল কালিতে
চলে যেতে যেতে তাই আবার
আলো ছুঁয়ে ফিরে আসি।
অথচ, জীবন হতে পারত বিকেলের মত উদাসীন
ইজিচেয়ারে শোয়া অর্ধেক উপন্যাস
বৃষ্টিতে পাতার উপর জলের ফোটার টুপটাপ
নদীর জলে পা ডুবিয়ে বসে কাছিম দেখা
আর জলের নিচে নীলের খেলা।
বেঁচে আছি শুধু প্রতিচ্ছবি হয়ে
যেমনটা সূর্যের আলোয় গাছের ছায়া।
আমি গাছ হতে চেয়েছিলাম।
এখন মরে যেতে ইচ্ছে করে
পৃথিবী জল শূন্য
বেঁচে থাকার তৃষ্ণাটা আর নেই।
শুধু আলো ছুঁয়ে ফিরে আসি অন্ধকারে।
0 Comments