ভীষন চাঁদের একলা পিঠে আমি দাগ কাটি –
আমি বড় একলা ভাবি, একলা থাকি, ঘুমাই-হাসি,
গল্প-মিতা, পথ-প্রান্তর ফুরোলেই বড়ো একলা খোলসে বসি।
আমার বড় একলা আকাশ, একলা ডানায় রোদমাখা সূর্যটারে বাঁধি,
সেই একলা মনে কেন আঁকো জলরঙের প্রতিচ্ছবি?
শহর ভেঙ্গে প্রান্তরে যাই, কারে সুধাই কোথায় খুঁজি?
আমার বড় চেনা পথে একলা অচেনার লাগি!
আমার বড় একলা নদী, ঢেউ আর একলা পাখি-
শুধু মুখখানি মায়াময় – বাকি সব অভিমানী।
একলা জীবন, একলা ঘর, একলা ছায়ায় মাখামাখি
তার মাঝে কেন আঁকো জলরঙের প্রতিচ্ছবি?
মুখ দেখিনি মন ছুঁয়েছি, হাত ধরিনি, একলা বসে থেকেছি
ভালো তারে বাসিনি, ছায়ায় ছায়ায় ঘুরেছি-
বিষাদে থাকিনি পাশে, হেসেছি… খেলেছি,
একলা বিদায় নিয়ে রাস্তায় নেমেছি –
আমি বড় একলা হয়ে তার বিষাদ হয়েছি
ভালো না বেসেও নিঃসঙ্গ রয়েছি –
আমার প্রান্তরে নদীতে আকন্ঠ ডুবেছি, মরেছি…
আমার একলা জীবনে কেন আঁকো জলরঙের প্রতিচ্ছবি।
0 Comments