এক-দুইটা পদ্ম না ফুটলেও দীঘির মন খারাপ হয় না
যেমন কিছু ফুলে ভ্রমর বসেনি, মধু নেই বলে
তবু তাকে ফুল না বলে তুমি কোথায় যাবে?
যে ছায়া দীর্ঘ হয় সময় তার অস্তাচলের-
ডানায় ভর করে যখন মন খারাপ সন্ধ্যে ফিরে যায় খড়কুটোর বাসায়।
কিশোরীর মন খারাপ বিকেলের মত আকাশ পানে চেয়ে সংসারী বাউল পথিক হয়
বেহালায় দীর্ঘ সুর ওঠে, পুরনো শহরের গলি আর গোপন দেয়ালে দেয়ালে-
শ্যাওলা জমে কাঁচা হাতের লেখা মলিন হতে থাকে।
একটা যৌবন কেটে গেছে স্বপ্ন দেখে
যাকে পাইনি তাকে চেয়েছি, যাকে পেয়েছি তাকে দিয়েছি অবহেলার শিউলি ফুল
পায়ে মাড়িয়েছি শুভ্র সকালের মত পবিত্রতা।
কেউ কেউ তবু মালা গেঁথে প্রতীক্ষায় থেকেছে দুই যুগ
ফিরে এসেছি পৃথিবী ঘুরে, শুধু সেই ঘর নেই, মানুষটাকেও চিনতে পারছি না!
স্মৃতিতে যাদের সাথে শেষ দেখা, শেষবার শরাব পান
প্রতিদিন যাদের প্রেমে ছিলাম মাতোয়ারা, রক্ত যখন কথা বলত-
তাদের কেউ কেউ আজ দেশান্তরী, বাকিরা অমর হয়ে গেছে।
জেনেছি তারার উত্তাপ অনুভব করা যায় না, তবু আলো জ্বেলে দিতে হয় সন্ধ্যে হলে
শিখেছি- সব আশা পূরণ হতে নেই, সবার সাথে দেখা হতে নেই,
সব কিছু পেতে নেই, অনেক কিছুই চাইতে হয় না।
কিছু ইচ্ছে অপূর্ণ রাখতে হয় দুঃখ গোপন করে।






0 Comments