অনেক দূরের পথ যেতে হবে… হাঁটা পথে এখান থেকে প্রায় মাইল বিশেক হতে পারে। পা টানছে না আর। সারাদিনের না খাওয়া, তারওপর এই অমানুষিক হাঁটাহাটির পরিশ্রম। আজমল সাহেব হঠাত বসে পড়েন ধুলোর উপর।
তার ছেলে অয়ন পেছন ফিরে আসে। “বাবা, কষ্ট হচ্ছে?” এইতো চলে এসেছি। আরেকটু সময় –
– সেই কখন থেকে হাঁটছি? সারাদিন হাটাচ্ছিস কোন দানা-পানি পড়েনি। বর্ডার কখন আসবে…?
অয়ন কিছুটা চমকে ওঠে। বাবা প্রলাপ বকছেন। “বাবা তুমি এম্বুলেন্সে… আমরা হাসপাতালে যাচ্ছি! আরেকটু ধৈর্য ধর বাবা।”
– পানি হবে রে বাবা… সারাদিন কিছু খাইনি… বিড় বিড় করতে করতে প্রায় অচেতন হয়ে যাচ্ছেন আজমল সাহেব।
অয়ন তার বাবার মুখের দিকে ঘোলা চোখে তাঁকায়। পৃথিবীর এই একটা জায়গাতে এসেই সে দূর্বল। এ লোকটা চলে গেলে তার বীরত্ব, সফলতা আর অহংকার দেখানোর কেউ থাকবে না। নিজের জন্যই বাবাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। অয়ন বাবার গাল ধরে আলতো করে ঝাঁকায়।
– পানি দেবেন না ওনাকে, পাশ থেকে ডাক্তারের এপ্রন পরা ছেলেটা বলে ওঠে। বাসা থেকেই ছেলেটা সাথে আছে। কে ডেকে এনেছে কে জানে?
অয়নের হঠাত মনে হতে থাকে চারিদিক থেকে কে যেন তার শ্বাঁঁসরোধ করার চেষ্টা করছে। …… কি একটা অপ্রাপ্তির ব্যাথায় বুকটা দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে।
(…অসমাপ্ত গল্প)
0 Comments