একটা সময় ছিল মানুষ ইফতারের দাওয়াত দিত, এখন ইফতার পার্টি হয়। মানুষ আনন্দ ফুর্তি করে। কয়দিন পর ইফতারে ডিজেও হবে।
সেহরি সবাই নিজের বাসায় খেত, ভোর রাতে তো আর দাওয়াত দেয়া যায় না।
এখন সাজু গুজু করে ঢাকার হোটেলে সেহরি খেতে যায় একসাথে। যাক কোন সমস্যা নাই, মুমিন বান্দারা একাসাথে বসে খাওয়া দাওয়া করবে সোয়াবের বিষয়।
চেক ইন হয়, ফটোসেশন হয়। তারপর সবাই মিলে একসাথে জামাতে সালাত আদায় করতে বায়তুল মুকাররাম যায়!
যাক এটাইতো মুমিন বান্দাদের কাজ।
মাঝখানে কিছু সেলেব্রিটি দিয়ে কর্পোরেট বুফে সেহরি হয়, আরো কি কি জানি হয় কিন্তু এই গরিবের স্বচক্ষে দেখার সৌভাগ্য কখনো হয়নি।
এই হল সংযম। যে যার সামর্থ অনুযায়ী ধর্মকে বদলে নিসে। সারাবছর রাতে বের না হইলেও এই সময় বের হওয়াটা একটা স্ট্যাটাস এর ব্যাপার।
বাদ দেন, গরিবের এত কাহিনী দিয়া কাম নাই। ধর্মের চেতনায় সুশীল নাই। এইখানে বাঙালি কালচার নষ্ট হয় না। এইটা তো আদিকাল থেকেই ধার্মিক বাঙালি করে আসতেছে।
একটা জিনিস পরিষ্কার, ধর্ম বলেন আর আইন বলেন সব পালন করার বাধ্যবাধকতা হল গরিবের। আর সামর্থবানদের কাজ হল এইগুলার মজা লোটার। বাকিটা ইতিহাস।
আমিতো সেহরি পার্টিও করি নাই, চেক ইনও দেই নাই।সমাজে কি আমার কোন স্ট্যাটাস থাকবে??
না, থাকবে না। এখনো ৫ টা রোজা বাকি আছে। জলদি স্ট্যাটাস অর্জন করুন।