আমার চারিপাশটা যেরকম-

May 28, 2018ছবি0 comments

আমি এখন যেখানে থাকি তা মূল শহর থেকে একটু বাইরে। কামরাঙ্গীরচর এলাকায়। নগরায়ন এখানে ব্যপক প্রভাব ফেললেও দূষন তুলনামূলক ভাবে অনেক কম। গড়ির হর্ন আর ধুলোবালি থেকে বেশ অনেক দূরে।

ছাদে উঠলেই তাজা বাতাস অথবা খাঁ খাঁ রোদ্দুর। শুধু একটাই সমস্যা সেটা হল রিকশা বা গাড়ি পেতে কষ্ট হয়। তবে নিজের বাইক বা গাড়ী থাকলে সমস্যা নাই। আমি আপাতত বাইক আর রিকশার উপর ভরসা করেই চলি।

আর এই এলাকায় প্রচুর মানুষ। প্রচুর ঘন বসতি। সবুজ কমে যাচ্ছে অনেক দ্রুত। জায়গাটা সিটি কর্পোরেশনের অধীনে হবার কারনে উন্নয়নের জোয়ারও (!) দেখা যায় রাস্তায়।

আমার ছাদ থেকে মোবাইলে তোলা ছবি। বৃষ্টির ঠিক কিছু আগে তোলা।

djahan.com-roof-top (2)

djahan.com-roof-top (1)

এই খালি জায়গাটায় একটা পুকুর ছিল বেশ বড়। এখন ভরাট করে কন্সট্রাকশন হবে।

অনুমান করতে পারি আর মাত্র ৫ বছরের মধ্যেই এই এলাকাটাও দ্বিতীয় লালবাগ হয়ে যাবে।

নদী আমার বাসা থেকে খুব বেশী দূরে না হলেও মাত্র অল্প কয়েকবারই গিয়েছি। আমদের নদী মৃতপ্রায়, আমরা একে তিল তিল করে খুন করছি। পর্যটন এখানে গড়ে ওঠেনি। আমরা নদী থেকে সরে শহুরে হবার বৃথা চেষ্টা চালাই।

আমার বন্ধুর বাসার ছাদ থেকে তোলা ছবি। অসম্ভব সুন্দর লাগবে বৃষ্টির সময়।

buriganga-river

সবুজ কমে গেলে কি হবে? আমি নিজের চেষ্টায় ছাদে বাগান করার চেষ্টা করছি। যতটুকু সবুজ ধরে রাখা যায়।

আর আমার স্ত্রীর চেষ্টায় বারান্দায় ফুলের গাছ। যদিও ফুলের থেকে আমার আগ্রহ সবজী চাষের দিকে।

নয়ন-তারা

বৃষ্টির কথায় মনে পড়ে গেল। বারান্দা থেকে বৃষ্টির শব্দ শুনতে মন্দ লাগে না। যদিও সবুজের সেই অনভুতি পাওয়া যায় না, তবুও বৃষ্টি বলে কথা।

 

ঝুম বৃষ্টিতে আমি এই শহুরে পরিবেশে আমার শৈশবে ফিরে যেতে চাই। সেই খোলা মাঠ, মাটি কাদা, কমে যাচ্ছে খুব দ্রুত।

0 Comments

মন্তব্য

দেলোয়ার জাহান

মনের একান্তে কিছু কথা থাকে যা কাউকে বলা যায় না। বলতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু প্রতিনিয়ত কুরে কুরে খায় আমাকে। সে সকল হাবিজাবি জীবন দর্শন আর কিছু অসময়ের কাব্য নিয়ে আমার লেখালেখির ভুবন।

Pin It on Pinterest

Share This